শিরোনাম:

রাবিতে হিজাব মন্তব্যের প্রতিবাদে ইসলামি লেবাসে ক্লাস নিলেন অধ্যাপক মনিরুজ্জামান

সংবাদ৫২ ডেস্ক
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৮ অক্টবার ২০২৫ | সময়ঃ ০৩:১১
photo

অধ্যাপক আ-আল মামুনের বিতর্কিত ফেসবুক মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া, আরবি বিভাগের শিক্ষকের প্রতীকী প্রতিবাদ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুনের হিজাববিষয়ক বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রতীকী পদক্ষেপ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় তিনি ইসলামি লেবাস পরিহিত অবস্থায় ও বুকে পবিত্র আল-কোরআন নিয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করেন।

এর আগে, সোমবার রাতে অধ্যাপক আ-আল মামুন রাকসু ও হল সংসদের নারী প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন,
“এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এরকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবো। পরবো টু-কোয়ার্টার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!”

তার এ মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে তিনি ফেসবুকে দুঃখ প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বলেন, “যে ধর্ম পালন করুক, সে তার ধর্মীয় পোশাকের বিষয়ে স্বাধীন। তিনি যদি হিন্দু হন, ধুতি পরে ক্লাসে যাবেন—এ বিষয়ে আমার কোনো ঘৃণা বা বিদ্বেষ নেই। আমি একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী পোশাক পরি, এবং ধর্মগ্রন্থ নিয়ে ক্লাসে যাওয়া আমার স্বাধীনতা।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষককে সমাজের বিবেক বলা হয়। তাদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষক মদ হাতে নিয়ে ক্লাসে যাবেন—এমনটা অনুমোদন দেয় না। আমি সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবাদে আজ ইসলামিক পোশাক পরে ও আল-কোরআন নিয়ে ক্লাস নিয়েছি।”

এই ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের পদক্ষেপকে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শালীনতার পক্ষে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে দেখছেন।

শেয়ার করুন