শিরোনাম:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জকসু নির্বাচনে ভোটার হতে পারবেন না এমফিল ও পিএইচডি শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ৩০ অক্টবার ২০২৫ | সময়ঃ ০৩:০৩
photo

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে এমফিল, পিএইচডি ও সমমানের কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন না।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা ২০২৫’–এর বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।

নীতিমালার ধারা-৪ এর ২(ক) অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্স যেমন এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড, বা কোনো পেশাদার, নির্বাহী, বিশেষ মাস্টার্স, এমফিল, পিএইচডি, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট বা ভাষা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন না। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও জকসু ও হল সংসদে অংশ নিতে পারবেন না।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায় এই নীতিমালা। এর আগে, ৭ অক্টোবর সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানকে আহ্বায়ক ও সহকারী অধ্যাপক আনিসুর রহমানকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের জকসু নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এই কমিটিকেই নির্বাচন কমিশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৭ সেপ্টেম্বর জকসু নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছিল। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ২৭ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন নীতিমালা ও আচরণবিধি চূড়ান্ত করা, তফসিল ঘোষণা, ভোটার তালিকা প্রকাশ, মনোনয়নপত্র জমা ও বাছাইসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সদস্য মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “গঠনতন্ত্রে ‘অধিভুক্তি’ বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকা কলেজ বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝানো হয়েছে। তাই শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “জকসুর নীতিমালা আমরা হাতে পেয়েছি এবং নির্বাচন কমিশনও গঠন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা অংশগ্রহণমূলকভাবে অগ্রসর হচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে জগন্নাথ কলেজ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কলেজ থাকাকালে মোট ১৪ বার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল, যার সর্বশেষটি হয় ১৯৮৭–৮৮ শিক্ষাবর্ষে। ওই নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন মো. আলমগীর সিকদার লোটন এবং সাধারণ সম্পাদক হন জাহাঙ্গীর সিকদার জোটন।

শেয়ার করুন