শিরোনাম:

বানিয়াল মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মৌমাছির কামড়ে ২৫ শিক্ষার্থী আহত

সাইফুল ইসলাম কামাল, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৯ অক্টবার ২০২৫ | সময়ঃ ০৮:৪৫
photo

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বানিয়াল মহেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মৌমাছির কামড়ে ২৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে ৬জন। এ ৬জন এ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।  
রোববার সকালের দিকে  এ ঘটনা ঘটে। তবে সবচেয়ে ৬ শিক্ষার্থী বেশি পরিমাণ  মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত হওয়ায় তাদের পরিবারের  লোকজনের ও প্রধান শিক্ষক তাৎক্ষণিকভাবে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসেন  তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য  অন্যে শিক্ষার্থীদের কামড়ানোর পরিমাণ কম থাকাতে তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানা গেছে। মৌমাছি আক্রান্তে আহতরা হচ্ছে, জাহিদ হোসেন, মাহাদি হাসান, হাবিব, ইফসুফ ও রিয়াত।
তৃতীয় শ্রেণির ক্লাশ শুরু হয় দুপুর ১২টার দিকে। কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা অনেক সময়ে স্কুলে আগেভাগেই এসে যায়। এদের মধ্যে ৬জন শিক্ষার্থীকে এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাসেল বেপারী ডেকে আনেন তার অফিস কক্ষে। সেখান থেকে তাদেরকে জানানো হয় যে, তারা যেন স্কুলের ছাদটি পরিস্কার করে আসতে  ক্লাশ বন্ধ রেখে প্রধান শিক্ষক তাদেরকে ছাদ পরিস্কার করতে উপরে পাঠিয়ে দেন পরিস্কার করার যন্ত্রপাতি দিয়ে। শিক্ষার্থীরা ছাদ পরিস্কার করার সময়ে স্কুলের পাশে থাকা একটি গাছে মৌমাছির চাকে  মধু খাওয়ার লোভে ঠুকর দেয় কাকে। আর তাতেই মৌমাছি ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে আক্রমণ করে ৬ শিক্ষার্থীকে। তখন মৌমাছি তাদেরকে ঘিরে ফেলে কামড়াতে  থাকলে তারা বাঁচার জন্য  ছাদ থেকে নিচে ফাল দেয়। এতে তাদেও সাথে সাথে মৌমাছি স্কুলের সবখানে ছড়িয়ে পরে। তখন এ ঘটনায় স্কুলের অন্য শিক্ষার্থীরা স্কুলের মাঠে জড়ো হয়। আর তখন  আরো শিক্ষার্থীদেরকে মৌমাছি কামড় দেয়। তাতে প্রায় ২৫জন শিক্ষার্থী এ ঘটনায় মৌমাছির কামড়ের শিকার হন। তাদেরকে হাসপাতালে আনলে চিকিৎসা শেষে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় কয়েক ঘন্টা। তারা আশংকা মুক্ত থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। 
বানিয়াল মহেশপুরের স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাসেল বেপারী বলেন, ছাত্ররা হাটাহাটির সময় মৌমাছি তাদেরকে কামড় দেয় বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ ঘটনায় দাবি হচ্ছে তাদের দিয়ে স্কুলের ছাদ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য ছাদের তালা খোলার জন্য প্রধান শিক্ষক চাবি দিয়েছে। তারপর পওে আমরা দাও নিয়ে ছাদ পরিষ্কার করতে যাই।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার  আব্দুল মমিন মিয়া বলেন, এখানে প্রধান শিক্ষক অপরাধ করিলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন