শিরোনাম:

সচল হলো গাজার বেকারি, দিনে তৈরি হচ্ছে ৩ লাখ রুটি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৯ অক্টবার ২০২৫ | সময়ঃ ০৫:৪২
photo

জাতিসংঘের সহায়তায় গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে চালু হয়েছে একটি বেকারি, যা প্রতিদিন উৎপাদন করছে প্রায় তিন লাখ রুটি। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসীর মধ্যে এটি এনে দিয়েছে নতুন স্বস্তি ও আশার আলো। দেইর আল-বালাহর ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) পরিচালিত এই বেকারিতে দিন-রাত চলছে রুটি বানানোর কাজ। গরম রুটির ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশে, আর লাইন ধরে অপেক্ষা করছে ক্ষুধার্ত মানুষজন। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ দফতরের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, শ্রমিকদের নিরবচ্ছিন্ন কাজ ও মানুষের দীর্ঘ সারি—যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাটিতে এখন জীবনের স্পন্দন ফিরিয়ে এনেছে এই বেকারি।

 

আন্তর্জাতিক ত্রাণ পৌঁছানোর পর বেকারিটি প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ রুটি উৎপাদনের সক্ষমতা ফিরে পেয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার বেকারিটি পরিদর্শন করে জানান, যুদ্ধবিরতি টিকে থাকলে দ্রুত পুনর্গঠন ও খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, “জাতিসংঘের লক্ষ্য গাজায় আরও ৩০টি বেকারি চালু করা, যাতে ক্ষুধা ও অপুষ্টি মোকাবিলায় ত্রাণ কার্যক্রম দীর্ঘমেয়াদি রূপ পায়।” তবে উত্তর গাজায় এখনো ত্রাণ পৌঁছানো বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বন্ধ রুট ও অব্যাহত অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকাগুলোতে খাদ্য সরবরাহ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ কাটাচ্ছে অনাহারে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতির পরও প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৫৬০ মেট্রিক টন খাদ্য গাজায় প্রবেশ করছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। টম ফ্লেচারের ভাষায়, “গাজা সিটিতে দুর্ভিক্ষ রোধে প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের প্রয়োজন।” তবু দেইর আল-বালাহর এই বেকারিটি এখন এক আশার প্রতীক—যেখানে ধ্বংসস্তূপের শহরে ধীরে ধীরে ফিরে আসছে জীবন, স্থিতি ও পুনর্গঠনের সম্ভাবনা।

শেয়ার করুন