শিরোনাম:

ফেসবুকে লাশবাহী স্পিডবোট চালুর খবরে খুশি হওয়া সেই আমিনকে দিয়েই যাত্রা শুরু

সংবাদ৫২ ডেস্ক
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৯ অক্টবার ২০২৫ | সময়ঃ ০৬:৫৪
photo

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে প্রবাসী মোহাম্মদ আমীন (৫০) এবং আরও ছয় প্রবাসীর লাশ দেশে পৌঁছানোর পর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটেছে গত ৮ অক্টোবর ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায়। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মৃতদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং তাদের নিজ নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। নিহতরা হলেন:

আমিন মাঝি (৫০)

মো. সাহাবুদ্দিন (২৮)

মো. বাবলু (২৮)

মো. রকি (২৭)

মো. আরজু (২৬)

মো. জুয়েল (২৮)

মোশারফ হোসেন রনি (২৬)

নিহত মোহাম্মদ আমীন ছিলেন সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আলী কব্বরের ছেলে। দুর্ঘটনার মাত্র এক দিন আগে তিনি ফেসবুকে লাশবাহী স্পিডবোট চালু হওয়ার খবর শেয়ার করেছিলেন। তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের পিতা ছিলেন; বড় মেয়ের বিয়ের আয়োজনও তিনি শীঘ্রই করতে চেয়েছিলেন।

নিহত মো. সাহাবুদ্দিনের পরিবারে মা–বাবা, স্ত্রী ও চার মাস বয়সী এক শিশু রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া সাত প্রবাসীর মধ্যে ছয়জনই অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল, ভাঙা টিনের বাড়িই তাদের একমাত্র আশ্রয়। তাদের অনেকের চার থেকে ছয় মাস বয়সী সন্তান রয়েছে।

সাহাবুদ্দিনের পিতা মো. সিদ্দিক জানালেন,

“আমার জীবন তো ফুরাই যাইব, কিন্তু আমার চার মাস বয়সী মেয়েটার কী হবে। ছেলে হারানোর শোকের মধ্যে ছোট্ট নাতিনটির ভবিষ্যতের কথা ভাবলে কলিজায় মোচড় দেয়।”

সন্দ্বীপবাসী এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। লাশবাহী স্পিডবোটের যাত্রা শুরু হওয়া এই দিনে প্রবাসীদের মৃত্যু এলাকায় দুঃখ ও মর্মাহতির ছাপ ফেলে।

শেয়ার করুন