অফিস ডেস্ক
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দায়িত্ব পালনরত এক পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ছয়জন টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমানের সঙ্গে পূর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের মো. জহিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে হাউজিং ও মাটি কাটার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার সকালে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের সময় টেটা, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এক পর্যায়ে কয়েকটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং একাধিক ঘরে লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে সিরাজদিখান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে সংঘর্ষে উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমানসহ অন্তত ছয়জন টেটাবিদ্ধ হন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খলিলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, মাটি কাটতে বাধা দেওয়ায় জহির লোকজন নিয়ে তার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করেছে। এতে তার পক্ষের কয়েকজন টেটাবিদ্ধ হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মো. জহির বলেন, খলিলুর রহমানের সঙ্গে তার বিরোধ অনেক আগের। আজকের ঘটনাটি তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়; এটি কংশপুরা গ্রামের খলিল ও দেওয়ানবাড়ির লোকজনের মধ্যে ঘটেছে। লতব্দী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন খোকন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে জমি ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধ চলছিল। শুক্রবারের সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি টেটাবিদ্ধ হয়েছেন। সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ হান্নান জানান, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি বলেন, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।