অফিস ডেস্ক
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্র চলছে এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদীর হত্যাকাণ্ড তারই একটি বাস্তব প্রমাণ। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর টাউন হলরুমে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ রংপুর জেলা ও মহানগর সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুফতি রেজাউল করীম বলেন, একটি মেধাবী তরুণ, যে ন্যায়ের পক্ষে ও দেশের কল্যাণে কাজ করছিল এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমন ঘটনার পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে—এ কথা বলা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারের প্রধানের বক্তব্য ইতিবাচক হলেও কিছু উপদেষ্টার আচরণ ও বক্তব্য নিয়ে আপত্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে যারা বিতর্কিত এবং দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে, তাদের পদত্যাগ করা উচিত বলে তিনি মনে করেন। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, একটি স্বাধীন দেশের ভেতরে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হত্যার পর খুনিরা কীভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেল এবং কারা এই হত্যার পরিকল্পনা করল। একই সঙ্গে তিনি ভারতকে এই ঘটনার জন্য দায় নিতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোনো সভ্য রাষ্ট্র খুনিদের আশ্রয় দিতে পারে না এবং তাদের বাংলাদেশে ফেরত দেওয়া উচিত।বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ ও খুনিদের ছাড় দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। দেশের ভেতরে যারা অশান্তি সৃষ্টি করে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও সকল ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম আরও বলেন, খুনিরা যদি সহজেই সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে পালাতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও বড় ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, যারা অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলে নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছে, দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরেছে এবং মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, তাদের আসন্ন নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানান তিনি।