অফিস ডেস্ক
মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার পক্ষে বিবৃতি দেওয়া দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে চারটি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)–এর সহ-সভাপতি (ভিপি) স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লবে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা ন্যায়বিচারের পথে একটি “ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।” চার ছাত্র সংসদ রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, ট্রাইব্যুনালের রায় অনুযায়ী আন্দোলনকারীদের ওপর ড্রোন নজরদারি, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনার মাধ্যমে গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে শেখ হাসিনার সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখাঁরপুল ও আশুলিয়ায় গুলিতে ছাত্র-জনতার প্রাণহানির ঘটনাকে সেই অপরাধের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ছাত্র সংসদগুলোর মতে, ‘বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দ’ নামে প্রকাশিত বিবৃতিতে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়া জনগণকে “স্তম্ভিত ও বিক্ষুব্ধ” করেছে। তারা দাবি করে, বিবৃতিতে ১০০১ শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ৬৫৯ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি কিছু শিক্ষকের অজ্ঞাতসারে তাদের নাম যুক্ত করার অভিযোগও উঠে এসেছে।
যৌথ বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত তদন্ত শুরু করে স্বাক্ষরকারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করা এবং দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
ছাত্র সংসদগুলো শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আহ্বান জানায়, যেসব শিক্ষক দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তাদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করার জন্য। বিবৃতিতে বলা হয়, “মানবতাবিরোধী অপরাধীর পক্ষ নেওয়া এসব শিক্ষকদের সামাজিক ও একাডেমিক সব ক্ষেত্র থেকে প্রতিহত করতে হবে।”
একই সঙ্গে চার ছাত্র সংসদ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আপনি চাইলে এই প্রতিবেদনের একটি সংক্ষিপ্ত সংস্করণ বা টিভি–নিউজ স্টাইল সংস্করণও তৈরি করে দিতে পারি।