আজ ১১ নভেম্বর, বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হচ্ছে ‘সিঙ্গেল ডে’ বা একা থাকার দিন। একা থাকা মানেই নিঃসঙ্গতা নয়—বরং নিজের মতো করে বাঁচার স্বাধীনতা, নির্বিবাদী জীবনযাপন এবং নিজের সত্তাকে উপভোগ করার এক অনন্য উপলক্ষ।
‘সিঙ্গেল’ মানেই ঝাড়া হাত-পা, নেই কোনো কৈফিয়তের দায়, নেই প্রেমের টানাপড়েন। কেউ কেউ হয়তো প্রেমহীনতার আফসোসে ভোগেন, কিন্তু অনেকেই এই একাকিত্বকেই স্বাধীনতার আনন্দ হিসেবে দেখেন। যারা একবার একা থাকার আনন্দ অনুভব করেছেন, তারা জানেন এর ভেতর লুকিয়ে আছে মুক্তির মিষ্টি স্বাদ। কেউ সম্পর্কের ব্যর্থতার পর নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন, আবার কেউ একান্ত ইচ্ছায় বেছে নেন নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্কটিকেই।
‘সিঙ্গেল ডে’-এর সূচনা হয়েছিল ১৯৯৩ সালে চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী, যারা ভালোবাসায় ব্যর্থ হলেও জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতেন, তারা প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করেন। দিনটি বেছে নেওয়া হয় ১১ নভেম্বর—অর্থাৎ ১১-১১। প্রতিটি ‘১’ একক মানুষকে বোঝায়, আর চারটি এক মিলে প্রতীকীভাবে প্রকাশ করে জীবনের সম্মিলিত আনন্দকে।
চীনে ভালোবাসা দিবসের বিপরীতে এই দিনটি একা মানুষদের উৎসবে পরিণত হয়। পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে—আত্মপ্রেম, স্বাধীনতা ও নিজেকে উদযাপনের বার্তা নিয়ে।
‘ডেজ অব দ্য ইয়ার’-এর তথ্যমতে, দিবসটির প্রচারক ছিলেন টমাস ও রুথ রয়। তাঁদের লক্ষ্য ছিল—মানুষ যেন একা থাকাকে লজ্জার নয়, বরং গর্বের বিষয় হিসেবে দেখতে শেখে।
তাই আজকের দিনটি হোক নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর, নিজের সঙ্গ উপভোগ করার, আর নিজেকে ভালোবাসার দিন। কারণ, একা থাকা মানেই কিন্তু শূন্যতা নয়—বরং স্বাধীনতার পরম আনন্দ।

অফিস ডেস্ক

