শিরোনাম:

জুলাই গণঅভ্যুত্থান: আবু সাঈদ হত্যার মামলায় সাক্ষী না আসায় আবারও পিছিয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ

সংবাদ৫২ ডেস্ক
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৪ নভেম্বার ২০২৫ | সময়ঃ ০৬:১৫
photo

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও পিছিয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আগামী ১০ নভেম্বর নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হলেও সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল এই নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে।

মামলার প্রসিকিউশন ও আইনজীবীর মন্তব্য:
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সহিদুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও মঈনুল করিম। কনস্টেবল সুজনের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু বলেন, সাক্ষী না আসার ঘটনা ‘প্রসিকিউশনের ব্যর্থতা’ হিসেবে দেখা যেতে পারে।

গত ১৩ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা ছিল, কিন্তু সাক্ষী হাজির করতে পারেনি প্রসিকিউশন। তখন তারা সময় চেয়ে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল এ সময় প্রসিকিউশনের কার্যক্রমে অভিযোগের আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং জানান, সাক্ষী হাজির না হলে আদালত অবমাননার বিষয় বিবেচনা করতে পারে।

পূর্ববর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ:
৬ অক্টোবর নবম দিনে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের দুই উপপরিদর্শক— এসআই রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল। তাঁরা জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে জেরা দেন। পরে পলাতক ২৪ আসামির পক্ষে চারজন স্টেট ডিফেন্সসহ গ্রেপ্তার আসামিদের আইনজীবীরা জেরা করেন।

গ্রেপ্তার আসামি ও পলাতক:
গ্রেপ্তার ৬ আসামি হলো—

এএসআই আমির হোসেন

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম

কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়

ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী

রাফিউল হাসান রাসেল

আনোয়ার পারভেজ

মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয় ২৭ আগস্ট। ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ গঠন করা হয় ৬ আগস্ট। তবে ২৪ জন এখনো পলাতক। পলাতকদের পক্ষ থেকে সরকারি খরচে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মোট সাক্ষী এই মামলায় ৬২ জন, যার মধ্যে বেশির ভাগ জেরা সম্পন্ন হয়েছে, তবে সাক্ষী হাজির না হওয়ায় প্রক্রিয়া পুনরায় বিলম্বিত হয়েছে।

শেয়ার করুন