শিরোনাম:

মুন্সীগঞ্জে মোল্লাকান্দিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২)নামের এক যুবক নিহত ।

মোঃ নাসির উদ্দিন, স্টাফ রিপোর্টার
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৩ নভেম্বার ২০২৫ | সময়ঃ ০৪:৫৯
photo

মুন্সীগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।

রবিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ইউনিয়নে দক্ষিণ বেহেরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী তার চাচাতো ভাই আকাশ দেওয়ান জানান, রবিবার রাতে নিহত তুহিন বাসা থেকে হাটার জন্য বাহিরে বের হয়। এ সময় মুন্সীকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিপক্ষ মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওজির আলী ও আওলাদ গ্রুপের অনুসারী লিটন বেপারির নেতৃত্বে পেছন থেকে নিহত তুহিনকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি করে। 
এ সময় তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে দায়িত্বরর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা ও বিএনপি নেতা আতিক মল্লিকের অনুসারী। স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ ছিলো।

নিহত তুহিনের মা লাকী বেগম হাসপাতালের করিডোরে বুক চাপরিয়ে আহাজারি করছে আর বলছে, সন্ত্রাসী লিটন বেপারী আমার নিস্পােপ ছেলেকে গুলি কইরা মাইরা লাইছে। আমি তার ফাঁসি চাই।

নিহত তুহিনের ভাই আক্কাস দেওয়ান বলেন, তুহিন বাড়ী ফেরার সময় পথিমধ্যে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা লিটন বেপারী পেছন থেকে গুলি করে তার ভাইকে মেরে ফেলেছে। লিটন বিএনপি নেতা উজির আলী গ্রুপের সন্ত্রাসী। এদিকো ঘটনার পর পর অভিযুক্ত লিটন বেপারী আত্মগোপনে চলে যায়। এ জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রান্ত সর্দার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার পিঠে ও ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, ঘটনার পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সীকান্দি গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করলে বিষয়টি পরিস্কার হবে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন