জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে টানাপোড়েন তীব্র রূপ নিচ্ছে। দলটি কয়েক মাস ধরে তাদের পছন্দের প্রতীক ‘শাপলা’ পাওয়ার দাবিতে অনড় থাকলেও, নির্বাচন কমিশন বলেছে বহুল প্রচলিত বিধিমালায় শাপলা নামের কোনো প্রতীক নেই—তাই সেটি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। কমিশন নিজ বিবেচনায় বিকল্প প্রতীক নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে বলে জানানো হয়েছে।
নিখুঁতভাবে জানানো হচ্ছে, ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিধিমালায় শাপলা না থাকার কারণে এনসিপিকে শাপলা দেওয়া সম্ভব নয়; কমিশন নিজে অন্য প্রতীক নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করবে।
তবে এনসিপি নেতৃত্ব তাতে মানতে নারাজ। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, শাপলা জাতীয় প্রতীক হিসেবে আইনি বাধা নেই—অন্য দলগুলোকে দেয়া প্রতীকগুলো বিবেচনায় এনে শাপলা তালিকাভুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত সরাসরি জানিয়েছেন, ‘শাপলা না পেলে ইসি পুনর্গঠনের আন্দোলনে নামার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আইনি পথে মোকাবিলা করব।’ মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও অন্যান্য অঞ্চলের নেতা-কর্মীরাও একই সুর তুলে বলছেন, শাপলা ছাড়া তাদের অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।
পটভূমি হিসেবে জানা গেছে, গত জুনে নিবন্ধনের সময় এনসিপি শাপলার পাশাপাশি কলম ও মোবাইল প্রতীক চেয়েছিল; পরে কলম ও মোবাইল থেকে সরে এসে কেবল শাপলায় আটকে যায় দলটি। আইনগত ব্যাখ্যা দাবি করে এনসিপি গত বুধবার ইসি কার্যালয়ে চিঠিও দিয়েছে। তারা চান নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০০৮ সংশোধন করে শাপলা/সাদা শাপলা/লাল শাপলা—এই তিনটি প্রতীক তালিকাভুক্ত করা হোক।
ঐতিহাসিকভাবে প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা থাকায় ইসি ও দলটিকে আপোষে নামতে বলা হচ্ছে; তবু এই মুহূর্তে দুপক্ষই তাদের অবস্থানে অনড়। এনসিপি নেতারা মনে করেন, শাপলা না পেলে তারা ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকবার অপশনও বিবেচনা করবেন এবং প্রয়োজন হলে ব্যাপক রাজপথ কর্মসূচি দেবেন।
শেষ সংবাদ: এ ইস্যুতে আগামী সময়ে ইসি কোন বিকল্প প্রতীক গেজেটে জারি করে এবং এনসিপি কী ব্যবস্থা নেয়—এসবই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক চলমান পরিস্থিতি ও দলের ক্ষমতা প্রদর্শনের পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।

অফিস ডেস্ক

