ঝালকাঠি সদর শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সোমবার (২০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত উপশাখার দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের সাইকোলজি বা মনস্তত্ত্ব বুঝে আমাদের কর্মসূচি সাজিয়েছি। তাই আল্লাহর ইচ্ছায় ডাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসু নির্বাচনে আমাদের বিজয় সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পরিবর্তনের নতুন ধারা শুরু করেছি। শিক্ষার্থীদের আস্থাই আমাদের প্রকৃত শক্তি।”
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকেই আমরা ছাত্র সংসদ পুনরুজ্জীবনের দাবি জানিয়ে আসছি। শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া অনুযায়ী ইশতেহার তৈরি করেছি এবং নির্বাচনের পরও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য কেবল ভোট নয়, শিক্ষার্থীদের আদর্শিক পুনর্জাগরণ।”
শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম উল্লেখ করেন, “ছাত্ররা আজ হতাশা, অনিশ্চয়তা ও আদর্শহীনতার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। আমরা তাদের মানসিকতা ও প্রত্যাশা বুঝে পথ দেখাতে চেয়েছি। যে সংগঠন শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ায়, তারাই প্রকৃত নেতৃত্ব অর্জন করে। ইসলামী আদর্শের প্রতি জনগণের আগ্রহ বাড়ছে এবং এটি আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমরা শুধু একটি সংগঠন নয়, বরং এক বিশ্বাসের আন্দোলন।”
তিনি বলেন, “ঐতিহাসিকভাবে ইসলামী সংগঠনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলে এসেছে। অতীতে দাড়ি, টুপি দেখলেই হামলা-মামলার শিকার হতে হয়েছে। যদিও বর্তমান আওয়ামী লীগ জনতার রোষে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে, নতুন কিছু গোষ্ঠী এখনও ইসলামী চেতনা দমন করার চেষ্টা করছে। আমাদের সংগ্রাম কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়; এটি সত্য, ন্যায় ও আদর্শের পক্ষে একটি আন্দোলন।”
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক শিবির নেতা ও ঝালকাঠি-২ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শেখ নেয়ামুল করিম, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক হারুণ অর রশিদ রাফি, সাবেক জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝালকাঠি জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এনামুল হাসান, এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সেক্রেটারি মো. নুরুজ্জামান।