অফিস ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও থেমে নেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত এসব হামলায় অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। গত শুক্রবার গাজা সিটির জেইতুন এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের বহনকারী একটি বাসে গোলাবর্ষণ করে একই পরিবারের অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। নিহতদের মধ্যে সাত শিশু ও তিন নারী রয়েছেন। রোববার (১৯ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, নিহতরা সবাই স্থানীয় আবু শাবান গোত্রের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ায় তারা নিজেদের বাড়িঘর দেখতে ফিরছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, বাসটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় নির্ধারিত ‘হলুদ লাইন’ অতিক্রম করেছিল এবং তাদের সেনাদের জন্য হুমকি তৈরি করেছিল। তাই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি তাদের।
অন্যদিকে হামাস-নিয়ন্ত্রিত জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল বলেছেন, ইসরায়েলের এ হামলা স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন এবং বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে বর্বরতা। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজার বহু বাসিন্দা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিজেদের ঘরবাড়ির খোঁজে ফিরছেন। তবে দীর্ঘদিনের বিমান হামলায় গাজা নগরী প্রায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় অনেকে পরিচিত স্থানও চিনতে পারছেন না। এর আগে, গত সপ্তাহে গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস আরও একজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। শুক্রবার রাতে মরদেহটি ইসরায়েলে পৌঁছায়। অন্যদিকে ইসরায়েল এখনও মিসর সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং বন্ধ রেখেছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য সীমান্ত পথেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বড় বাধা সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর জানিয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত পুরোপুরি না মানা পর্যন্ত রাফাহ ক্রসিং পুনরায় খোলা হবে না। অন্যদিকে হামাস বলেছে, তারা চুক্তির সব শর্ত মেনে চলছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছে।