নির্বাচন কমিশন দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার আগেই রংপুরের পীরগঞ্জ-রংপুর আসনে ‘শাপলা’ প্রতীকে সমর্থন ও দোয়া চেয়ে দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপ্রত্যাশী তাকিয়া জাহান চৌধুরী।
জানা গেছে, পছন্দের প্রতীক পেতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বর্তমানে টানাপোড়েনে রয়েছে এনসিপি। এর মধ্যেই শাপলা প্রতীক সম্বলিত পোস্টার সাঁটিয়ে নতুন করে আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন তাকিয়া জাহান।
তাকিয়া জাহানের দাবি, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রতীক নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই শাপলা প্রতীক সম্বলিত পোস্টার ছাপানো হয়েছিল। এগুলো ভুলক্রমে সাঁটানো হয়েছে, দাবি করেন তিনি।
জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা এলাকায় তাকিয়া জাহানের ছবি ও শাপলা প্রতীক সম্বলিত অসংখ্য পোস্টার দেখা গেছে। পোস্টারে লেখা—
“আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৪-রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়নপ্রত্যাশী সংসদ সদস্য প্রার্থী (শাপলা মার্কা) তাকিয়া জাহান চৌধুরী আপনাদের সবার সমর্থন ও দোয়া প্রার্থী।”
তাকিয়া জাহান এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। চব্বিশের ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তিনি এনসিপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, “আমি প্রতীক নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার আগেই পোস্টারগুলো ছাপিয়েছিলাম। পরে ভুলক্রমে এগুলো লাগানো হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি এখন এনসিপির হয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাকিয়া জাহান দলীয় কোনো পদে না থাকলেও দলটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন এবং মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে মাঠে কাজ করছেন।
এনসিপির যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, “তিনি (তাকিয়া জাহান) আমাদের দলের একজন সমর্থক। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সদস্য হননি। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের অনেক কর্মী-সমর্থক মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন।”
শাপলা প্রতীকে প্রচারণা চালানো নিয়ে তিনি বলেন, “মানুষ এখন এনসিপি বলতে শাপলাকেই বুঝে নিচ্ছে। তাই অনেক সময় স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ এই প্রতীক ব্যবহার করছে। আমরা চাইলে সবাইকে থামাতে পারি না।”