ভোর ৫টার কিছুক্ষণ পর রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে বের হন বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে তার অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অভিযানের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বিমানবন্দরে শহিদুল আলমকে ফুল দিয়ে বরণ করেন তার পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা। এর আগে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান। সেখানে ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান তাকে স্বাগত জানান।
তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আমানুর রহমান জানান, শহিদুল আলমের ঢাকাগামী ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ইস্তাম্বুল ত্যাগ করে। শহিদুল আলমের মুক্তি ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। শহিদুল আলমের আটকসংক্রান্ত ঘটনায় বাংলাদেশের জর্ডান, মিশর ও তুরস্কে অবস্থিত দূতাবাসগুলোকে নিজ নিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্রুত কূটনৈতিক যোগাযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।