আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে সরব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতি প্রণয়ন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতসহ পাঁচ দফা দাবিতে দলটি একদিকে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে নির্বাচনী প্রস্তুতিও নিচ্ছে জোরেশোরে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে,
কেন্দ্র থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া প্রায় দুই শতাধিক নেতাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনের মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এই তালিকায় রাখা হয়নি দলটির শীর্ষ পর্যায়ের পাঁচজন নেতাকে, যারা এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।
নির্বাচনে অংশ না নেওয়া নেতারা হলেন—সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, এটিএম মাসুম, মাওলানা আবদুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। এছাড়া অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলামও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই হেভিওয়েট চার সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে নির্বাচনকালীন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা হয়েছে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা, প্রার্থীদের তদারকি, প্রচারণা, আন্দোলন সমন্বয়, জোট গঠন প্রক্রিয়া এবং দলীয় আমির নির্বাচনসহ নানা কৌশলগত কাজের নেতৃত্ব দেবেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন,
“একটা পরিবারের সবাই সব কাজ করে না, এটাই সৌন্দর্য। হয়তো আমি প্রার্থী না, কিন্তু আমি তো ব্যবস্থাপনায় আছি। নির্বাচনে প্রার্থীদের খোঁজ-খবর রাখা, প্রচার-প্রচারণা ও ব্যবস্থাপনা তদারকি করা বড় দায়িত্ব—এ কাজে আমরা পুরোপুরি নিয়োজিত।”
জামায়াত সূত্রে আরও জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে ২৯৪ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে দলটি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ১২ জনের মধ্যে সাতজন সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
দলটি মনে করছে, নির্বাচনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সাংগঠনিক ঐক্য ও আন্দোলন সমন্বয়—দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তাই ভোটের লড়াইয়ের পাশাপাশি মাঠের আন্দোলনেও সক্রিয় থাকবে জামায়াতে ইসলামী।