শিরোনাম:

এক হওয়ার ডাক ইরানের, মহানবীর উক্তি!— ইসলামে ঐক্য ও মহানবীর উক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১০ অক্টবার ২০২৫ | সময়ঃ ০৩:৩৮
photo

ইসলামে ঐক্য (ইত্তিহাদ, উম্মাহ একতা) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি। আল্লাহ তা‘আলা কোরআনে বিশ্বাসপ্রাণদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন, “আর তোমরা সকলেই আল্লাহর দড়ির দড়ি আঁকড়ে ধরো এবং বিভাজিত হওয়া না” (৩:১০৩) । এই আয়াত মূলভাবেই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, মুসলিম উম্মাহর সদস্যদেরকে বিভেদ ও দ্বন্ধ থেকে বিরত থাকতে হবে। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) অনেকবার ঐক্য এবং সহমর্মিতা বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এক হাদিস-এ তিনি বলেন:

 

“বিশ্বাসীরা যদি একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, একাত্মতা ও করুণা প্রকাশ করে, তাহলে তারা এক জীবনের অঙ্গ (দেহ) এর মতো — যদি কোনো অঙ্গ ব্যথিত হয়, তাহলে সমগ্র দেহ শোকে দুর্বল বোধ করবে।” 

এই উপমাটি মুসলিমদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়: কোনও মুসলিম যদি কষ্টে পড়ে, অন্যরা তার ব্যথা অনুভব করবে; একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন দেখানো উচিত।

আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে:

“সকল মুসলমান এক অদৃশ অঙ্গের মতো; কেউ কাউকে কষ্ট দিলে (অপর পুরুষ) দুঃখ অনুভব করবে।” 

মুহাম্মদ (সা.) আরও বলেছিলেন:

“যে ব্যক্তি আমাদের সরল পথ অনুসরণ করে নামাজ পড়ে, আমাদের কিবলা (মসজিদে মুখ করা) করে এবং আমাদের পশু এড়িয়ে খায়, সে মুসলমান; সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সমর্থনে।” 

 

সুতরাং, ইসলামের ভিত্তি হলো:

সুবিন্যস্ত উম্মাহ (একতা) পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতা দ্বন্দ্ব ও আভ্যন্তরীণ বিভেদের অপসারণ কেবল আল্লাহর নির্দেশ ও রাসূলের সুন্নাহ অবলম্বন করা

বাস্তব প্রাসঙ্গিক দিক ও ফলাফল

বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের একতাবদ্ধতা: পার্থক্য (দেশ, জাতি, ভাষা) থাকলেও ঈমান ও শিরক ও বিভাজনবাহী আচরণ ত্যাগ করে মুসলিমদের একভাবে মিলিত হওয়া উচিত।  বর্ণবাদ, বর্গভিত্তিক মনোভাব বাদ দেওয়া: মহানবীর শেষ বক্তব্যে (খূতবা-ই-হজ্ব) তিনি বলেছিলেন, আরব কোনো সুবিধার ভিত্তি নয় এবং আদম (মানব) সব গোষ্ঠীর জন্য। 

 

সক্রিয় ভূমিকা: মুসলিমরা অহিংসভাবে বোঝাপড়া বাড়াতে, দোষ ভুল মীমাংসা করতে, উপদেশ ও সহমর্মিতা প্রচার করতে পারে — কারণ হাদিসে “নصيحة” (পরামর্শ) গুরুত্বপূর্ণ স্থান পায়।

শেয়ার করুন