কক্সবাজারে ঘরে ঢুকে লিয়াকত আলী (৫০) নামে এক বিএনপি নেতাকে গুলি ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার লিংকরোড বিসিক শিল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত লিয়াকত আলী ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি মোটরসাইকেলে করে চার যুবক লিয়াকতের ঘরে ঢুকে গুলি চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কক্সবাজার উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল্লাহ নুর বলেন, “লিয়াকত আলী লিংকরোড এলাকায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সেই কারণেই স্থানীয় সন্ত্রাসী আবদুল খালেকের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ঘটনার প্রতিবাদে শহর ও ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। “২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে,” — হুঁশিয়ারি দেন সাইফুল্লাহ নুর।
ঝিলংজা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাশেদ উল্লাহ ও যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন, “হামলাকারীরা শুধু লিয়াকত আলীকেই নয়, তার বাড়ির এক নিরাপত্তাকর্মীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।” প্রতিবেশী জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট তাহের আহমদ সিকদার অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা রাতের আঁধারে এই কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে।”
এদিকে আহত লিয়াকত আলী জানান, হামলাকারীদের মধ্যে আবদুল খালেক, কুদরত উল্লাহ ও সাহাব উদ্দিনকে তিনি চিনতে পেরেছেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান বলেন, “লিয়াকত আলী ও আবদুল খালেকের মধ্যে পুরনো বিরোধ রয়েছে। দুজনই একে অপরের মামলার আসামি। ঘটনাটির পেছনে অন্য কারণ আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান শুরু করেছে, তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি এবং মামলাও হয়নি।