শিরোনাম:

ঢাকায় বিদেশি গোয়েন্দা পরিচয়ে প্রতারণা: এনায়েত করিমসহ নতুন তথ্য প্রকাশ

অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বার ২০২৫ | সময়ঃ ০৯:০২
photo

 

ঢাকা প্রতিনিধি:
ঢাকায় বিদেশি গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয়ে আসা মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম ওরফে মাসুদ করিম চৌধুরীকে ঘিরে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, বিমানবন্দর থেকে তাকে আনতে পুলিশের এক পদস্থ কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন এবং রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে থাকার খরচ বহন করেছেন জাতীয় পার্টির রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব পরিচয় দেওয়া কাজী মামুনুর রশিদ।

সূত্র জানায়, ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পৌঁছানোর পর পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় এনায়েত করিম হোটেলে ওঠেন। হোটেল বুকিং ও ভাড়া পরিশোধ করেন কাজী মামুনুর রশিদ। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এক পুলিশ সদস্য, যিনি একজন ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তার দেহরক্ষী ছিলেন। বর্তমানে ওই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও সংশ্লিষ্ট ডিআইজির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

গত শনিবার তাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রমনা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে তিনি রিমান্ডে রয়েছেন।

তদন্তে জানা গেছে, এনায়েত করিম দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে একটি প্রভাবশালী বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া প্রধান পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন। ২০০১ সাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে কখনো সরকারি প্রভাবশালী যোগাযোগের আশ্বাস, আবার কখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল ডিনারে আমন্ত্রণ দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বহু রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তবু প্রতারণা করেছেন। আগেও বিএনপি জোট সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এমনকি মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতা বিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এক ব্যক্তিকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে অর্থ নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, এনায়েত করিমের সহযোগীদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে এবং প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন