অফিস ডেস্ক
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। তবে বর্তমান শারীরিক অবস্থায় বিদেশযাত্রা নিরাপদ কি না, সে বিষয়ে এখনো মেডিকেল বোর্ডের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া যায়নি।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জন ও ওসমান হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ডা. আব্দুল আহাদ। তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে এবং থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুর—এই দুই দেশের কোনো একটি হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। কোন দেশে নেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত রাতের মধ্যেই চূড়ান্ত হতে পারে।
ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, আগামীকাল উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও, রোগীর বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় মেডিকেল বোর্ড এখনো ক্লিয়ারেন্স দেয়নি। বিদেশযাত্রা রোগীর জন্য নিরাপদ হবে কি না, সে বিষয়ে বোর্ড আগামীকাল সকালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর অংশ হিসেবে শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকায় সীমান্ত দিয়ে লোক পারাপার চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং মূল হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। তিনি এ ঘটনায় কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানানোর জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) জানানো হয়েছে, যেন কোনোভাবেই হামলাকারীরা দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা দুই আসামি দেশে আছে নাকি বিদেশে পালিয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, তাদের দেশ ছাড়ার কোনো তথ্য নেই। পুলিশের তথ্যমতে, ফয়সাল মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ওসমান হাদিকে গুলি চালায় এবং আলমগীর মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ফয়সাল চলতি বছরের জুলাই মাসে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আসে।
এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি। তার ভাষ্য অনুযায়ী, হাদির পরিবার বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ চায়, পরিবারই বাদী হয়ে মামলা করুক। পরিবার না পারলে প্রয়োজনীয় ড্রাফট প্রস্তুত রয়েছে, হাসপাতাল থেকেই পরিবারের স্বাক্ষর নিয়ে মামলা করা হবে।