অফিস ডেস্ক
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে সিলেটগামী ট্রেনে পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী ডাবলু—এমন তথ্য নিশ্চিত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সভিত্তিক বিশ্লেষণে। এর আগে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফয়সালের সর্বশেষ অবস্থান রাজধানীর শাপলা চত্বরে পাওয়া গিয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনায় ইতোমধ্যে মোটরসাইকেলের মালিকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। পাশাপাশি মূল অভিযুক্তদের পাসপোর্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হামলার পর অভিযুক্তরা দেশ ছাড়েনি বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। এই হামলার সঙ্গে কারা সরাসরি জড়িত এবং নেপথ্যে কারা রয়েছে, তা উদঘাটনে গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে। হামলার পরপরই ‘কিলিং মিশন’ শেষে অভিযুক্ত ফয়সাল ও তার সহযোগী সিলেটগামী ট্রেনে পালিয়ে যায়—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে হামলাকারীদের পরিচয় এবং হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের ফলেই অভিযুক্তদের গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মূল অভিযুক্তদের পালিয়ে যাওয়ার কোনো তথ্য নেই। রবিবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. নজরুল ইসলাম সে কথা জানান। তবে পরবর্তী বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নতুন তথ্য সামনে এসেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে দেশের সকল সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের পাসপপোর্ট ব্লক করা হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা সেল সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যক্তিগত কোম্পানি ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বলে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তদন্তে নতুন তথ্য মিললে তা সময়মতো গণমাধ্যমকে জানানো হবে।