অফিস ডেস্ক
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় সানজিদা বেগম (৩৩) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা—তা নিয়ে এলাকাজুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। নিহতের পরিবার দাবি করেছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অন্যদিকে, স্বামী হুমায়ুন তপাদার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ নভেম্বর (শনিবার) হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব চর কৃষ্ণপুর গ্রামের তপাদার বাড়িতে। নিহত সানজিদা ওই গ্রামের হুমায়ুন তপাদারের স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আবদুল খালেক গাজী ও ফাতেমা বেগম দম্পতির তৃতীয় সন্তান। নিহতের পরিবার, স্থানীয় জনগণ ও স্বজনরা সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ইব্রাহীম খলিল ভুইয়া, ইকরাম গাজী, কুদ্দুস বেপারী, আবদুল রসিদ গাজী, মালেকা বেগম, মরিয়ম বেগম, পারভীন বেগমসহ অনেকে দাবি করেন—সানজিদাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের ভাই ইমাম হোসেন গাজী মানববন্ধনে বলেন, পরিবারের সুখ-শান্তির জন্য তিনি প্রায়ই বোনকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতেন। তিনি জানান, মৃত্যুর আগের দিন সানজিদা তাকে একটি অডিও বার্তা পাঠান, যেখানে তিনি শারীরিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন। সানজিদা ও হুমায়ুন দম্পতির দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে—লামিয়া (১২) ও সামিয়া (৭)। বড় মেয়ে লামিয়া একটি ভিডিও বার্তায় জানায়, তাদের পরিবারে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ চলত এবং তার চাচা-চাচিদের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করে। সে তার মায়ের মৃত্যুর জন্য কঠোর শাস্তি দাবি করে। স্বামী হুমায়ুন তপাদার পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি বাজারে ছিলেন। খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরে দেখেন তার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। তিনি বলেন, “হত্যা হোক বা আত্মহত্যা—সত্য উদঘাটনে আমি সুষ্ঠু তদন্ত চাই।” হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী এবং নিহতের স্বজনরা দ্রুত একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সানজিদার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জোর দাবি জানিয়েছেন।