মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তোলপাড় ধানের শীষের প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা, তৃণমূলে জোর আলোচনা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মুন্সিগঞ্জ-৩ (মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এখনো চূড়ান্ত মনোনয়ন না হলেও মাঠে ধানের শীষের প্রচারণা জমে উঠেছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। দুজনই তৃণমূলে ব্যস্ত সময় পার করছেন, নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন এবং নির্বাচনী মাঠ গোছাচ্ছেন।
জেলা বিএনপি আহবায়ক সদস্য সচিব মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,
“শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত সরকার আন্তর্জাতিক চক্র হিসেবে নানা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।”
তিনি আরও বলেন,
“৫ আগস্ট স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফলেই এখন মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারছি। অতীতে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত, গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, ঘরে ঘুমাতে পারেননি।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি সতর্ক করে বলেন,
“অত্যাচারী আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় বিএনপির মধ্যে কেউ ঢোকার চেষ্টা করলে দলের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কেন্দ্রীয় বিএনপি ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন বলেন,
“বিএনপির মনোনয়নের সুযোগ পেলে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন,
“গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। এই স্বৈরাচার সরকারকে বিতাড়িত করেছে দেশের ছাত্র-জনতা, আর নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন বিএনপির কর্মীরা।”
অন্যদিকে, জেলা বিএনপি আহবায়ক সদস্য ও শহর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম শহীদ জানিয়েছেন—তৃণমূল যদি চান, তবে তিনি মুন্সিগঞ্জ পৌর মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চান। তিনি এর আগে তিনবার সফল কমিশনার ও ২০২১ সালে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।
এখনো দলীয়ভাবে কারও নাম ঘোষণা না হলেও, কে ধানের শীষের মনোনয়ন পাবেন—সে প্রশ্নই এখন তৃণমূল ও সাধারণ ভোটারদের মুখে মুখে।