শিরোনাম:

বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট ঘিরে সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বিভ্রান্তি ছড়ালে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে পুলিশ

সংবাদ৫২ ডেস্ক
অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বার ২০২৫ | সময়ঃ ০৫:৪০
photo

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সারাদেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। উৎসবকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) ও থার্টিফার্স্ট নাইট (৩১ ডিসেম্বর) উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা বড়দিনকে কেন্দ্র করে পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, সবার সহযোগিতায় অন্যান্য বছরের মতো এবারও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হবে।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, বড়দিন একটি সার্বজনীন উৎসব। এই উৎসবকে ঘিরে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পুলিশের সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় জানানো হয়, বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে গির্জার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদের ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইট রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়।

থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার ও কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। উচ্চ শব্দে গাড়ির হর্ন বাজানো কিংবা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সভায় জানানো হয়।

সভায় জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এবং সংশ্লিষ্ট বিট পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তা নেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

সভায় র‍্যাবের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত আইজি) এ কে এম শহিদুর রহমান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত আইজি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সেন্ট মেরীজ ক্যাথিড্রাল চার্চের পালপুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা, জনসংযোগ ও যোগাযোগ সম্পাদক অপু প্লাসিড মধু, দি খ্রিস্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল জন গোমেজ ও সেক্রেটারি মঞ্জু মারিয়া পালমাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। দেশের সব পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।

শেয়ার করুন