অফিস ডেস্ক
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ও নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি অংশজুড়ে চলমান দ্বিত্বল সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে দৃশ্যমান অগ্রগতি থাকলেও নীচের সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ তীব্র ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এলাকাবাসীর দাবি—প্রকল্পটি শেষ হলে তারা সুফল পাবেন, তবে নির্মাণকালীন সময়ে ব্যবস্থাপনা দুর্বল থাকায় প্রতিদিনই ভয়াবহ যানজট, ধুলাবালি ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১০ কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্যের সড়ককে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট আধুনিক রূপে রূপান্তর করা হচ্ছে। উপরিস্তরে দ্রুতগতির যান চলাচলের জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং নীচের স্তরে সাধারণ সড়ক প্রসারিত করা হচ্ছে। প্রকল্পে একাধিক র্যাম্প, নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ফুটপাত ও আধুনিক ট্রাফিক সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে।
সরকার অনুমোদিত প্রায় দুই হাজার দুই শতাধিক কোটি টাকার এই প্রকল্পে চুক্তিবদ্ধ বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর তত্ত্বাবধানে এলিভেটেড অংশে স্ল্যাব বসানোর কাজ, নিচের লেনে রাস্তা প্রশস্তকরণ এবং ড্রেনেজ নির্মাণ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তথ্যমতে, পুরো প্রকল্পের প্রায় অর্ধেকের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে সড়ক পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্য রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কের কাজের জন্য অনেক অংশে খুঁড়ে রাখা জায়গা, কাদামাটিতে ভরা চলাচলের পথ, অসমান রাস্তা এবং যানজট মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যিক পরিবহনের বড় অংশ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করায় প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয় যানবাহনকে।
অন্যদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি দেশের যোগাযোগ অবকাঠামোর একটি বড় পরিবর্তন আনবে। সড়ক চালু হলে যাতায়াতের সময় কমে যাবে, পরিবহন ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে এবং ঢাকার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের শিল্প এলাকার সংযোগ আরও শক্তিশালী হবে।
সড়কটি পুরোপুরি ব্যবহারে চালু হলে দ্রুতগতি, নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক সুবিধা একসঙ্গে পাওয়া যাবে—এমনটাই আশা করছেন সবাই। তবে সেই সুফল পেতে নির্মাণকাজের অবশিষ্ট সময়টুকুতে কার্যকর ব্যবস্থাপনা, বিকল্প চলাচলব্যবস্থা এবং কঠোর নিরাপত্তা নজরদারি নিশ্চিত করার দাবি উঠছে স্থানীয়দের কাছ থেকে।