মুন্সীগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যার চেষ্টায়
মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মানিক: বৃহস্প্রতিবার ১৫ মে দুপুর ১২ টার সময় মুন্সীগঞ্জ শহরস্থ পাশপোর্ট অফিসের সামনে প্রকাশ্যে হত্যার উদ্দ্যেশে তানজিলা (২৫) নামের এক গৃহবধুর উপর হামলা চালায় তার স্বামী সোহেল পারভেছ। এতে গুরতর অবস্থায় তানজিলাকে উদ্বার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে যায় পথচারীরা।
জানাযায়,২০২১ সালের ১২ফেব্রুয়ারী শরিয়ত মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার সম্ভপুরা ইউনিয়নের চরকিশোরগঞ্জ গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে তানজিলা আক্তার (২৫) কে বিবাহ দেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার যোগিনীঘাট গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সোহেল পারভেজ (৩৫) এর নিকট। ৫লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া।
তানজিলা আক্তারের বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করিয়া ৪ ভরি স্বর্ন ও নগদ ২ লক্ষ টাকা দেয় মেয়ের স্বামী সোহেল পারভেজকে।
প্রথমে ভালই চলছিলো তানজিলার দাম্পত্য জিবন, তাদের দাম্পত্যে যখন শিশু সন্তান তানভীর হন্ম হয় এর পর থেকে তানজিলার স্বামী ও শশুর শাশুরী মোটা অংকের টাকা দাবী করে। শুরু তানজিলার উপর শারিরিক মানুষিক নির্যাতন। পরে ২০২৩' ইং সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখে তানজিলা কে বারার বাড়ি পাঠিয়ে শিশু সন্তান তানভীরসহ তার স্বামী সোহেল পারভেজ। এবং বলে ১০ টাকা না নিয়ে আর আমার বাড়িতে যাবিনা। এরপর থেকে আর কেন যোগাযোগ করেনা।ছেলে তানভীর সহ বাবার বাড়িতে থাকে তানজিলা। তানজিলা ও তার স্বামী সোহেল পারভেজ একটি দোকান কিনে ছিল স্টেডিয়াম যা দোকান নং ১৬। সেই দোকানের সোহেলের অংশটুকু বিক্রি করে দেয় রিপন নামের ব্যক্তির কাছে। আর তানজিলা তার অংশটুকু বিক্রি করে অনসার ও শাহিন নামের ব্যক্তির নিকট। এরপর থেকে কেউ কারো সাথে যোগাযোগ নেই। অন্যদিকে ভরনপোষণ এর দাবীতে পারিবারিক মামলা করে তানজিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
সোহেল পারভেজ জোরপূর্বক তানজিলার দোকান দখল করে নেয়।পরে সেই দোকানে লোকজন নিয়া স্টেডিয়াম কতৃপক্ষ এর সামনে দোকানে তালা দেয় তানজিলা।
এরই জের ধরে তানজিলার মা রোকসানা বেগম ওএ বিষয় ০৫/০৫/২০২৫ ইং তারিখে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ডাইরি নং ৩৪২ রজু করা হয়। যা তদন্ত আধীন রয়েছে। অভিযোগের আলোকে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে তদন্ত করার অনুমতি চায় সাব- ইন্সপেক্টর হরিচাঁদ হাজরা । এর পরে ১২/০৫/২০২৫ ইং তারিখে একই ব্যাক্তি সোহেল পারভেজ, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে সি, আর মামলা নং ৪৮৯/২০২৫ দাখিল করে। উপরিক্ত মামলায় যাদের আসামী করা হয়েছে তারা পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ভাবে এ ঘটনায় সংযুক্ত ছিল না। তাদের বিরুদ্যে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার জন্য সোহেল পারভেজ।ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ১৫ মে দুপুর ১২ টার সময় তানজিলাকে দুপুর অনুমান ১২.০০ ঘটিকার সময় আমার বাড়ী হইতে মুন্সীগঞ্জ মুন্সীরহাট ডাক্তারের কাছ যাওয়ার সময় মুন্সীগঞ্জ থানাধীন পাঁচঘড়িয়াকান্দি সাকিনস্থ হরগঙ্গা কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে সামনে একা পেয়ে তার উপর অতকিত হামলা চালায় সোহেল পারভেজ ও তার মা রোজিনা বেগম ( ৫২) ননদ তাহমিনা ৩০) শশুর কামাল হোসেন দাড়িয়ে থেকে তানজিলা কে মারার হুকুম দেয়। এসময় সোহেল পারভেজ ও তার লোকজন মিলে তানজিলা কে বেদম প্রহার করে। তার ডাক চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এসে তানজিলা কে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করায়।বিবাদীরা আমাকে একা পাইয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিয়া ১নং বিবাদী লাঠি দিয়া আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে বাইরাইয়া নীলাফোলা জখম করে। ২ ও ৩নং বিবাদী আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারি কিলঘুষি ও লাথি মারিয়া বেদনাদায়ক নীলাফোলা জখম করে। আমার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাকে হুমকি দিয়া বলে, আমি যদি বিবাদীদের নামে দায়েরকৃত উক্ত মামলা উঠাইয়া না নেই তাহলে বিবাদীরা সুযোগ মতো পাইলে আমাকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে আশেপাশের লোকজন আমাকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার জন্য ভরিত করে। এমতাবস্থায়, উক্ত বিষয়টি সাধারণ ডাইরীভুক্ত করি রুখসানা আক্তার বিপি-৮৭০৭১০৯৪০ ডিউটি অফিসার মুন্সিগঞ্জ থানা মুন্সিগঞ্জ জেলা।
এসআই (নিরস্ত্র) মীর মোহাম্মদ মোখছেদুল আলম বিপি-৭৫৯৫০৪১৪৯৪