গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষ আহত-৫
মুকবুল হোসেন,মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন , চৌদ্দকাহনিয়া গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৫), রবিউলের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (২৫), শ্যালক সাহেদ প্রধান (২৩), অপরদিকে প্রতিপক্ষের আহত,জান্নাতি বেগম(২৫), জান্নাত বেগমের চাচা মুক্তার হোসেন(৪০)। আহতদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ও সোনিয়া আক্তার কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তির পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে একই গ্রামের আব্দুল বাতেনের পরিবারের সাথে প্রতিবেশী নুরুজ্জামান সরকার গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা এবং পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। পূর্বের শত্রুতা ও বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল ৯টার দিকে রবিউল ইসলামের লোকজনের সাথে নুরুজ্জামান সরকারের লোকজনের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের নারীসহ ৫ জন আহত হয়।
আহত সাহেদ জানান , শনিবার সকাল থেকেই প্রতিপক্ষের হামলাকারীরা আমার দুলাভাই রবিউল ইসলামের উপর নজর রেখেছে। সকাল সাড়ে আটটার পর তিনি নাস্তা খাওয়ার জন্য বাড়িতে ঢুকলে প্রতিপক্ষের লোকজন অন্তত ২০/২৫জন সন্ত্রাসী চারদিক থেকে তার বাড়িঘর ঘিরে ফেলে। সন্ত্রাসীদের মধ্যে দুজনের হাতে পিস্তল এবং তিনজনের হাতে শটগান ছিলো। বাকিদের হাতে রামদা,বগিদা ও লোহার পাইপ ছিলো। তারা প্রথমেই আমার দুলাভাই রবিউল ইসলামকে ঘর থেকে টেনে বের করে উঠানে নিয়ে বগিদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। তাকে বাঁচাতে আমার বোন এবং আমি এগিয়ে গেলে আমাদেরও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়া আহত করা হয়। আমার দুলাভাইয়ের অবস্থা ভালো নয়। দায়ের কোপে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ফিরোজ সরকার বলেন,তাঁরা আমার ভাই সহ আমাদের একাধিক লোককে এর পূর্বে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন,যার প্রেক্ষিতে মামলা চলমান,সেই মামলায় তাঁরা জামিনে বের হয়েছে। বাড়ি এসে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে বাড়ি ঘর লুট করবে, গোয়াল ঘর থেকে গরু নিয়ে যাবে,আজকেও আমার ছোট ভাই ও ভাতিজিকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করেছে।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খন্দকার আরশাদ কবির বলেন, ' এই ঘটনায় আহত ৫জন রোগীকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে'।বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ জানান খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।