গজারিয়ায় বালু মহল বন্ধ রাখার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি
মুকবুল হোসেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ইমামপুর ইউনিয়ন নয়ানগর, রমজান বেগ,ষোলআনি ও কালিপুরা মৌজায় বালু মহল ইজারা না দেয়ার দাবিতে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে স্থানীয় কৃষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে।
রবিবার ২৬ মার্চ দুপুর ১২ঃ০০ ঘটিকার সময় ইমামপুর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান, বিএনপি মুন্সিগঞ্জ জেলা যুবদল ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, আলহাজ্ব মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে তিন শতাধিক স্থানীয় কৃষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের গণস্বাক্ষর সংযুক্ত স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়।
স্মারকলিপি জমা দেওয়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা কালিপুরা গ্রামের সাবেক শামসুল হক মেম্বার জানান আগের বালু মহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে আমাদের তিন ফসলি জমি সহ গ্রাম বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। সরকার একই জায়গায় বালুমহল নতুন করে ইজারা দেয়া হলে আমরা ষোলআনি, কালিপুরা, তনু সরকারকান্দি তিন থেকে চারটি গ্রামের শত শত কৃষক এবং একাধিক গ্রাম নদী ভাঙ্গনে শিকার হবো। একাধিক গ্রামের শত শত কৃষক এবং ফসলি জমি রক্ষা করার দাবিতে অনুপযোগি বালুমহল ইজারা দেয়া বন্ধ করার শর্তে স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে। ফিরোজ মিয়া ও হানিফ মোল্লা জানান আগের দেয়া বালু মহল সিন্ডিকেট প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে দিনে ও রাতের আধারে নদীর তীর ঘেষে বালু উক্তোলন করে আমাদের তিন ফসলী জমি সহ শত শত ফসলি জমি নদীতে বিলীন করে দিয়েছে। একই এলাকায় বালুমহল চালু থাকলে ইমামপুর ইউনিয়নের তিন থেকে চারটি গ্রামের কয়েক শতক কৃষক এবং একাধিক গ্রাম নদীতে ভেঙ্গে বিলীন হয়ে যাবে। পৈত্রিক ভিটাবাড়ি ও মাটি রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম জানান ইমামপুর ইউনিয়নের কালিপুরা এলাকার কিছু কৃষক এবং জনসাধারণ স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। তাদের দাবি কালিপুরা মৌজায় বালু মহল অনুপযোগী। আমরা সরজমিনে পরিদর্শন করবো এবং স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে দেয়া হবে।