পাবনায় ৩৬ জুলাই গণবিপ্লব হলেও চুপচাপ পুলিশ প্রশাসন,
আব্দুল্লাহ আল মোমিন
৩৬ জুলাই সারা বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ ছাত্রজনতার তোপের মুখে পরতে হয়েছিলো ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলটির।
দলের নেতাকর্মীদের নিজের আধিপত্য বিস্তার লাভের কারণেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার নিজ দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড জনতার স্বার্থে থাকলে করুন পরিনতি হতো না। এদিকে ষোল থেকে সতের বছরের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়েছিলো জনগন,দীর্ঘদিনের পরিকল্পনায় জনগনের স্বার্থ উদ্ধার করতে পেরেছে ছাত্র সমাজ। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষের জায়গা দখল,বিনা কারণে মামলা হামলা এমনকি পাতি নেতার শক্তিতে জনগনের কাতরাতে হয়েছে কিন্তু প্রতিবাদ করলেই ক্ষমতার দাপটে করুন পরিনতি মিলতো জনগনের। এই থেকে ধীরে ধীরে আওয়ামীলীগ দলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা তিক্ততার রুপে রুপান্তর হয়। চুন থেকে নুন খসলেই আওয়ামী ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু হতো এক বিভীষিকাময় এমন দৃশ্য পাবনার বিভিন্ন স্থানেই মিলেছিলো,প্রতিবাদ করলেও কোন লাভ হয় নাই। ছোট ছোট কাজ গুলো একটা সময়ে বড় ধরনের রুপ ধারণ করে। ক্ষমতাসীন স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার তের থেকে চৌদ্দ সালের নির্বাচনে দিনের ভোট রাতে করে আওয়ামীলীগ দলের নির্দেশনা অনুযায়ী,এই নির্বাচনে রাতারাতি জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।সাধারণ জনগনের ভোট হরণ,খুন,গুমসহ নানা ধরনের অপরাধের সাথে সংঘবদ্ধ হয়।এদিকে পুলিশ প্রশাসনও নৌকা কেন্দ্রীক গড়ে ওঠেছিলো,বিনা কারণে পুলিশের নির্যাতনের তোপের মুখে পরলেই জেলের ঘানি টানতে হয়েছিলো সাধারণ জনগনের।দূর্গ গড়ে তোলার মত গড়ে উঠেছিল এক নারকীয় পুলিশ প্রশাসন,তৎকালীন সময়ে পুলিশ প্রশাসন আইন ছাড়াই আওয়ামী ক্ষমতা বলে থানাতেই আইন পাশ করে চলতো ইতিহাস গড়ার মত আওয়ামী আইন।এই আইনের জালকে ভেঙ্গে গড়ে তোলে ছাত্র জনতা ৩৬ শে জুলাই।
৫ই আগষ্টে বিকাল তিনটায় স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা পলায়নের মধ্যে দিয়ে অবসান ঘটে দীর্ঘদিনের শাসন কায়েমের শাসকের।এদিকে ছড়িয়ে পরে আওয়ামীলীগ দলের সভাপতি ও স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা পালিয়েছে,এ খবর শুনে জেলা পর্যায়ের সাংসদ থেকে শুরু করে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা দিক বেদিক ছুটাছুটি করে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য চলতে থাকে।
এ থেকে ধীরে ধীরে ইতিহাসের পাতারও পরিবর্তন হয়,এখন পর্যন্ত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা গোঁপন কক্ষে নিজেকে গুটিয়ে নেয়।অতিদ্রুত পুলিশ প্রশাসনের কর্মস্থলও পরিবর্তন হতে থাকে,শুধু পরিবর্তন এখনো আসে নাই বিগত দিনের আচার আচরণ।
অন্য দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা হওয়া থেকে অবসান হয়।
জামায়াত,বিএনপি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সেভাবে মাঠে কার্যক্রম করতে না পারলেও সেই সুযোগ আসে ছাত্র জনতার গন অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে।গনঅভ্যুত্থানের পর এই দুই রাজনৈতিক দল মাঠে ঘনঘন কর্মসূচি দিয়ে দলকে সাধারণ জনগনের মাঝে সক্রিয় করতে সক্ষমতা অর্জন করে।বিএনপি দলের কিছু কিছু নেতাকর্মীরা বালু মহল,বাজার নিয়ন্ত্রণ,টার্মিনাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ,চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথে জর্জরিত হয়ে যাচ্ছে,এতে দিশেহারা হচ্ছে নির্যাতিতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা।সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামীলীগ৷ দলের নেতাকর্মীরাও বিএনপির দিকে উঁকিঝুকি দিচ্ছে এতে ঝামেলার জনজাট সৃষ্টি হচ্ছে।এদিকে দলের সুনামের চেয়ে দুন্নামিই বেশি হচ্ছে,এতে জনগনও আস্থার স্থান থেকে সটকে পরার সম্ভাবনাই বেশি।দলকে শক্তিশালী করতে হবে সাংগঠনিক নিয়ম কানুন কঠিন থেকে কঠোরতম করতে হবে কারণ কোন নেতাকর্মীরা যেন বিপদগামী পথে যেতে না পারে।সেদিকে থেকে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সংগঠনটি সাধারণ জনগনের মাঝে নিজেদের ভোট বৃদ্ধির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে সেই সাথে কর্মীবান্ধব কর্মসূচি দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছে।