টপ নিউজ রিপোর্ট:
মুন্সীগঞ্জ সদরের কালিরচর, চর আবদুল্লা ও কাওয়াদি এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনবিরোধী অভিযানে চারজন বাল্কহেড শ্রমিককে কারাদণ্ড দিয়েছে প্রশাসন। তবে পাশেই থাকা বালু কাটার মেশিন জব্দ না হওয়ায় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সদর, এসিল্যান্ড সদর, মুন্সীগঞ্জ থানা ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে শ্রমিকদের শাস্তি দেওয়া হয়। অথচ মূল বালু কাটার যন্ত্র অক্ষত অবস্থায় রয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মূল অপরাধীরা ‘অদৃশ্য শক্তির’ আড়ালে থেকে যাচ্ছে, আর সাধারণ শ্রমিকদের শাস্তি দিয়ে সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। তাদের মতে, শ্রমিকদের শাস্তির পাশাপাশি বালু কাটার মেশিন জব্দ করা হলে অভিযান কার্যকর হতো।
অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙনে ভিটেমাটি, কৃষিজমি ও বসতবাড়ি হারানোর শঙ্কায় আছেন এলাকাবাসী। তারা বারবার মানববন্ধন, লিখিত অভিযোগ ও প্রতিরোধ কর্মসূচি করলেও কার্যকর উদ্যোগের অভাব রয়েছে বলে দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজানা আক্তার বলেন, “সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যার উপস্থিত ছিলেন, তার সঙ্গেই কথা বলতে হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, “আইন অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।”
অন্যদিকে, বাংলাদেশ বাল্কহেড মালিক পরিবহন সংস্থার সভাপতি বোরহান মিয়া বুলু অভিযোগ করে বলেন, “শ্রমিকরা কোনো অপরাধ করেনি। আমরা যদি বালু কিনি প্রশাসন শাস্তি দেয়, আর না কিনলে বালুমহলের নেতারা হুমকি দেয়। এটি অন্যায় আচরণ।”
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনকে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কৃষিজমি ও পৈতৃক ভিটে রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে।