গজারিয়ায় ফসলী জমিতে জোরপূর্ব বালু ভরাটের অভিযোগ ১০০শতাধিক কৃষক ফসল ও চাষবাস বঞ্চিত 

নিউজ ডেস্ক | সংবাদ ৫২.কম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
Sangbad52

গজারিয়ায় ফসলী জমিতে জোরপূর্ব বালু ভরাটের অভিযোগ ১০০শতাধিক কৃষক ফসল ও চাষবাস বঞ্চিত 

মুকবুল হোসেন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় গজারিয়া ইউনিয়ন নয়ানগর মৌজায় শতাধিক কৃষকের তিন ফসলী জমিতে জোরপূর্বক বালু ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে থ্রি অ্যাঙ্গেল কোম্পানির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সময়ে সরজমিনে দেখা যায় গজারিয়া ইউনিয়ন, নয়ানগর ও বালুচর গ্রামের প্রায় শতাধিক কৃষকের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন তিন ফসলী জমি জোরপূর্বক ভাবে বর্ষা মৌসুমে বালু ভরাট করেছে অভিযুক্ত কোম্পানি। বালুচর ও নারানগর গ্রামের কৃষকদের অভিযোগ ৭ থেকে ৮ বছর আগে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের পক্ষে নিয়ে বর্ষা মৌসুমে নির্বিচারে জোরপূর্বক ভাবে বালু ভরাট করেছে। নয়ানগর গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষকদের মধ্য থেকে 

রতন মিয়া ৫৫,তোফাজ্জল ৪৫, কাদির ৫০, কদম আলী, ৫৫,খোরশেদ৬৫, জানান রবি মৌসুমে টমেটো, খিরা, আলু, মরিচ চাষ করে প্রতি বৎসর বিগা প্রতি অর্ধ লক্ষ থেকে লক্ষ টাকা আয় করতে পেরেছি। কোম্পানি জোরপূর্বক বালু ভরাটের পর নয়ানগর ও বালুচর গ্রামের কৃষকদের দুর্দশা এ দিন কাটছে। নিজের জমিতে চাষ করতে গেলে কোম্পানি থানা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করে। স্থানীয় প্রভাবশালী অস্ত্রধারীদের দিয়ে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেয়া হয়। অনেক কৃষক ভোগদখল ও মালিকানা নিয়ে কোর্টে মামলা করেছে। কোম্পানি একাধিক বার জমি ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। কৃষকরা বিক্রয়ে সাড়া দিলেও কোম্পানি ক্রয়ে রাজি হয় নাই। সরকার পতনের আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ডিসি অফিস বরাবর কৃষকদের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও কৃষকদের অভিযোগ থীঙ্গেল কোম্পানি দুইটি খাল-খাস, অর্পিত সম্পত্তিসহ মেঘনা নদী ভরাট করেছে। অভিযুক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকার প্রতিনিধিকে জানান আমরা অনেক জমি বায়না করেছি। জানুয়ারী ২০২৫ এর মধ্যে কোম্পানি কিনে নিবে। অন্যান্য একাধিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি অনেক ঝামেলায় আছি, বলে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন। একাধিকবার মোবাইল করে রিসিভ না করায় বিস্তারিত মতামত নেওয়া যায় নাই। উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মামুন শরীফ জানান অভিযুক্ত কোম্পানি খাস, বন্দোবস্ত দেয়া, অর্পিত সম্পত্তি ও নদী ভরাটের প্রমাণ পাওয়া গেছে। খাস বেদখল কি পরিমান ডিমারগেশন কাজ চলমান আছে। মৌখিকভাবে দখল ছেড়ে দেয়ার সতর্ক করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর আক্তার জানান থী অ্যাঙ্গেল কোম্পানি খাস ও নদী দখল করেছে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। ডিমারগেশন কাজ চলমান আছে। কৃষকের ফসলি জমি জোরপূর্বক বালুভরাট করার লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।