অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৮ নভেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৬:৪৪
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় বুলডোজার নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ‘রাজাকার’ উল্লেখ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। তার এই মন্তব্য প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্ট্যাটাসে ছাত্র–জনতাকে ‘রাজাকার’ আখ্যা দেওয়ায় অনেক নেটিজেন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মন্তব্যের ঘরে অনেকে তাকে ‘ভারতীয় গুপ্তচর’, ‘আওয়ামী কালচারাল ফ্যাসিস্ট’সহ বিভিন্ন বিশেষণে সমালোচনা করেছেন। শাওনকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবিও জানান অনেকেই।
তার পোস্টের জবাবে দিনাত জাহান মুন্নি লিখেছেন, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরকে উদ্দেশ্য করে “৩২ বার ভাঙতে হবে।”
নাসির উদ্দিন খান মন্তব্য করেন, “সাহস থাকলে আজ ৩২ নম্বর এসে দেখা দাও।”
মুহাম্মদ আল আমিন হোসাইন তাকে ‘শাহবাগি’ আখ্যা দিয়ে শাস্তির দাবি করেন।
আরেক নেটিজেন মাহদী হাসান ফরাজী লেখেন, “দেশে থেকেও কীভাবে এত নিরাপদ থাকে!”
জামাল আজিজ মন্তব্য করেন, বুলডোজার “বার বার ৩২ নম্বর না গিয়ে শাওনের বাড়িতে যাওয়া উচিত।”
দিদারুল ইসলাম লিখেছেন, শাওন বাসায় থাকতে পারছেন—এটাই “হাসিনামুক্ত নতুন বাংলাদেশ।”
আফিয়া সিদ্দিকা প্রশ্ন তোলেন, “এই মেয়েটাকে এখনো কেন অ্যারেস্ট করা হয়নি?”
মাকসুদ আলম পাটোয়ারী মন্তব্য করেন, তাকে “৩২ নম্বর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া উচিত।”
শরীফুল ইসলাম দাবি করেন, শাওনের বাড়িও গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে।
রুবেল কানিস অভিযোগ করে লেখেন, শাওন “ভারতের গুপ্তচর হিসেবে অবস্থান করছেন,” তাকে আইনের আওতায় এনে সম্পত্তি জব্দের দাবি জানান।
মোহাম্মদ ইউনুস শাওনের উদ্দেশে লেখেন, “লেজ কাটা শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাক।”
ফজলে রাব্বি তাকে ‘ভারতীয় এজেন্ট’ বলেন।
স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে বিষয়টি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শাওন তার পক্ষ থেকে কোনো নতুন মন্তব্য বা ব্যাখ্যা দেননি।
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ