অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৭ নভেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৪:৪৫
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সন্ত্রাসবাদ দমনে তাঁর দেশের কঠোর অবস্থান আরেকবার স্পষ্ট করেছেন। সোমবার এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের একই চোখে দেখা হবে এবং পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদদ দেওয়া অব্যাহত রাখলে তা তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বয়ে আনবে।
জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “আমরা আগেই বলেছি—আলোচনা ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না, রক্ত ও পানি একসঙ্গে চলবে না। শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ার প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাসী এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের একইভাবে বিবেচনা করা হবে।”
পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে তিনি সতর্কবার্তা দেন যে, সাম্প্রতিক অপারেশন ‘সিন্দুর’-কে তারা ‘৮৮ ঘণ্টার ট্রেলার’ হিসেবে দেখছেন। ভারতের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিবেশী দেশের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ শেখাতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারতের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রসঙ্গ টেনে সেনাপ্রধান বলেন, দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে এবং কেউ সেই অগ্রযাত্রার পথে বাধা দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পারমাণবিক হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজকের ভারত কোনো ব্ল্যাকমেইলে ভয় পায় না।” তাঁর মতে, ভারতের সন্ত্রাস মোকাবিলার ‘নিউ নরমাল’ এখন পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
জেনারেল দ্বিবেদী আরও জানান, রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আর ভারতের প্রতিরোধশক্তি এখন অত্যন্ত শক্তিশালী ও কার্যকর। চীনকে ঘিরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, দুই দেশের নেতৃত্বের আলোচনার ফলে গত এক বছরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটেছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি জানান, ২০১৯ সালে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর সেখানে রাজনৈতিক স্পষ্টতা এসেছে এবং সন্ত্রাসবাদ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। পাশাপাশি মণিপুরের পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সফরের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ