মুন্সীগঞ্জে সেনা-পুলিশের যৌথ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে বিপুল সরঞ্জাম উদ্ধার


মুন্সীগঞ্জ গোডাউন ঘরে অভিযান চালিয়ে একটি অবৈধ দেশীয় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) গভীর রাতে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব শীলমন্দি এলাকায় সুমল লাল নামের এক ব্যক্তির গোডাউনে
সেনাবাহিনীর ও পুলিশের একটি টহল দলের সমন্বয়ে পরিচালিত যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। সদর দপ্তর ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড-এর অধীনে মুন্সীগঞ্জ সদর আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক এই অভিযান পরিচালিত হয়।

গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে যৌথবাহিনীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে পূর্ব শীলমন্দি এলাকার সুমল লালের গোডাউন ঘরে কিছু অপরিচিত ব্যক্তির সন্দেহজনক আনাগোনা রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। তল্লাশির সময় গোডাউন ঘরটি থেকে অবৈধ দেশীয় অস্ত্র তৈরির ৩টি সীসা কার্তুজ, ৫টি লোহার বাট, ৭টি লোহার ব্যারেল, ৭টি রিকয়েল স্প্রিং, ১টি ওয়েল্ডিং মেশিন, ১টি ড্রিল মেশিন, ৬টি লোহার বোল্ট, লোহার তৈরি লেদ মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে যৌথ বাহিনীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, উদ্ধার হওয়া এই কারখানা থেকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন এবং ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। একই সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে সংঘটিত সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্রের সরবরাহও এই স্থান হতে করা হয়েছিল।

উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদি পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ ও ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে সদর উপজেলার চর ডুমুরিয়া, সোলার চর এবং নয়াকান্দি এলাকায় স্থানীয় আধিপত্যের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে গুলিবিনিময় ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় তুহিন দেওয়ান (২২) ও আরিফ মীর (৩৭) নামের দুজন ব্যক্তি নিহত হন।

 


সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মানিক

নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ রহমত উল্লাহ দেওয়ান

ফোনঃ ০১৭১১৩৯১১৩০

যোগাযোগঃ ঠিকানাঃ উত্তর ইসলামপুর, হাজী বাড়ী (তিন রাস্তার মোড়) মুন্সিগঞ্জ-১৫০০।

© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ