অবৈধভাবে গুলিসহ বিদেশি পিস্তল রাখার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া অস্ত্র আইনের মামলায় এই রায় ঘোষণা করেন। সম্রাটকে পলাতক দেখিয়ে তার অনুপস্থিতিতেই আদালত রায় দেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিআইডির উপপরিদর্শক রাশেদুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, সম্রাট কাকরাইলের ‘মেসার্স হিস মুভিজ’ নামের একটি অফিসে বসে মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।
তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করে সহযোগী এনামুল হক আরমানের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় পাচার করেন। পাচার করা টাকার পরিমাণ আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা।
আদালতের নথিতে উল্লেখ আছে, সম্রাট ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৩৫ বার সিঙ্গাপুর, তিনবার মালয়েশিয়া, দুবার দুবাই এবং একবার হংকং ভ্রমণ করেন। তার সহযোগী আরমান একই সময়ে ২৩ বার সিঙ্গাপুরে যান।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, একটি বিদেশি পিস্তল এবং বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।
বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। পরদিন ৭ অক্টোবর র্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিলের পর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

অফিস ডেস্ক