অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৮ অক্টবার ২০২৫, সময়ঃ ১১:০৩
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ও বৌলতলী ইউনিয়নের মাইজগাঁও মৌজায় ফসলি জমি কেটে অবৈধভাবে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি নূরে আলম সারেংয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের একের পর এক অভিযান, জরিমানা ও ড্রেজার ভাঙচুরের পরও দিব্যি চলছে তার অবৈধ বালু-মাটি বাণিজ্য।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রকাশ্য দিবালোকে ফসলি জমির মাঝখানে বসানো হয়েছে একাধিক ড্রাম ড্রেজার। বর্ষা মৌসুমে পানি ভরা বিলে পাইপের মাধ্যমে মাটি তোলা হচ্ছে এবং তা পাঠানো হচ্ছে সিরাজদিখান ও শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভরাট কাজে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, যেসব জমিতে আগে আলু ও ধান চাষ হতো, সেসব জমি এখন মাটি ব্যবসার কবলে পড়েছে। ইতিমধ্যে অন্তত ১০ একর ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে ফেলা হয়েছে।
কৃষকদের আরও অভিযোগ, জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি কিনে তা ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নেওয়ার পর আবার সেই জমির মাটি বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভ করছেন নূরে আলম সারেং। এতে একদিকে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে এলাকার পরিবেশও ধ্বংসের মুখে পড়ছে।
এলাকাবাসী জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে এই প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের পর প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালালেও তিনি প্রতিবার নতুন জায়গায় ড্রেজার বসিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যান।
এ বিষয়ে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন বলেন,
“অবৈধ ড্রেজিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শিগগিরই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ