অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ১৪ অক্টবার ২০২৫, সময়ঃ ০৬:২১
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা ও অভাবের মূল কারণ সম্পদের অভাব নয়, বরং এটি আমাদের তৈরি করা অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যর্থতার ফল।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইতালির রোমে বিশ্ব খাদ্য ফোরামের সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ভাষণ দেওয়ার সময় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এই মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন,
“২০২৪ সালে ৬৭৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত ছিল, অথচ আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন করি। এটি উৎপাদনের ব্যর্থতা নয়— এটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা, এক নৈতিক ব্যর্থতা।”
তিনি বিশ্বের সামরিক ব্যয়ের সঙ্গে ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের তুলনা টানেন।
“আমরা যখন ক্ষুধা দূর করতে কয়েক বিলিয়ন ডলার জোগাড় করতে পারিনি, তখনই বিশ্ব অস্ত্রের পেছনে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।”
ড. ইউনূস বাংলাদেশের উদাহরণও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ছোট ভূমির দেশ হলেও বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দিচ্ছে, এবং ১৩ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের ধান উৎপাদন, কৃষি মেকানাইজেশন, জলবায়ু-সহনশীল ধানের জাত এবং শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি আরও বলেন,
“আমরা কৃষককে মেকানাইজেশনে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছি, শক্তিশালী খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। শিশুদের খর্বতা কমেছে, খাদ্য তালিকা বৈচিত্র্যময় হয়েছে এবং কৃষি আরও সবুজ হয়েছে।”
ড. ইউনূসের এই বক্তব্য বিশ্ব নেতাদের ক্ষুধা নির্মূলের অগ্রাধিকারে পুনঃমূল্যায়ন এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের গুরুত্বের উপর প্রশ্ন তোলে।
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ