বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে ‘ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট’ (অবৈধভাবে অনুপস্থিত) হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তিনি যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেই জন্য তাকে ধরতে সকল সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদের বিরুদ্ধে জয়েন্ট ইন্টেরোগেশন সেলে (জেআইসি) ভুক্তভোগীদের বন্দি রেখে নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, “মেজর জেনারেল কবীর না জানিয়ে অবৈধভাবে ছুটিতে গেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।”

মেজর জেনারেল কবীর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর পরিচালক এবং স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকসের কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ সেপ্টেম্বর তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেনাবাহিনীতে দায়িত্বকালীন সময়ে অভিযুক্তরা কোনো অন্যায় করেননি; তবে বিভিন্ন বাহিনীতে প্রেষণে গিয়ে কিছু ব্যক্তি অপরাধে জড়ান বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান আরও বলেন, “ওয়ারেন্ট ইস্যুর বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা প্রয়োজন। ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করার বিষয়ে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।”