অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৭ অক্টবার ২০২৫, সময়ঃ ০৫:০৩
তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যার পানি কমলেও গঙ্গাচড়া উপজেলার চর এলাকা এখনও বন্যার ক্ষতচিহ্নে ভরা। নদীর উজানের ঢল ও হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পানিতে দ্বিতীয় তিস্তা সেতুর রক্ষা বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে রংপুর–লালমনিরহাট আঞ্চলিক সড়কে প্রতিদিন যাতায়াতকারী ৩০–৩৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগের মুখে পড়েছে।
রক্ষা বাঁধের ধস ১১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। প্রথমে ৬০ মিটার অংশ ধসে ৭০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হলেও, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ধস বাড়তে থাকে। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০০ মিটার, এবং ৭ অক্টোবর পর্যন্ত ৩০০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
নোহালী ইউনিয়নের চর বাগডহরা, মন্টু মিয়ার বাড়ি ও মিনা বাজার সংলগ্ন ফসলি জমিতে নদী ভাঙনের প্রভাব দেখা দিয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে গেলে স্থানীয় কৃষকরা তাদের জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ২০ হেক্টর আমন ধান, ১ হেক্টর মাসকলাই, ২ হেক্টর বীজবাদাম এবং ০.৫ হেক্টর সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা শাহ মোঃ ওবায়দুল রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত অংশের প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে; অনুমোদন ও বরাদ্দ মিললেই দ্রুত সংশ্লিষ্ট বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হবে। সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় ২০ মেট্রিক টন চাল এবং দুই লাখ টাকা নগদ অর্থ বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, শুধু ত্রাণ নয়, তিস্তা নদীর স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ ও মহা পরিকল্পনার বাস্তবায়নই স্থায়ী সমাধান।
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ