অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৬ অক্টবার ২০২৫, সময়ঃ ০৩:১৪
দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখন দোরগোড়ায়। অনিশ্চয়তা ও সংশয়ের মাঝেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পক্ষের শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে বিএনপির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রস্তুত হয়েছে বলে জানা গেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ তালিকা যাচাই-বাছাই করছেন এবং দেশে ফিরে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রার্থী বাছাই অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। গত বছরের অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ নতুন করে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করেছে। টানা ১৫ বছর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত থাকার পর এবার ভোটাররা অধীর আগ্রহে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটাধিকার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার। এ অধিকার যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করতে পারে, তা নিশ্চিত করা সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে—প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করেছে। দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। পাশাপাশি শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন বণ্টনের বিষয়েও আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে কয়েকটি মিত্র দল নিজেদের প্রত্যাশিত আসনের তালিকা বিএনপির হাইকমান্ডে জমা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ব্যক্তিগতভাবে এসব তালিকা যাচাই করছেন। মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা শেষে শরিকদের জন্য নির্ধারিত আসন চূড়ান্ত করা হবে, এরপর বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারেক রহমান দেশে ফিরে প্রার্থী তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন। তবে যাঁরা মনোনয়ন পাবেন, তাঁদের অনানুষ্ঠানিকভাবে শিগগিরই সবুজ সংকেত দেওয়া হবে। দলের দুজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, এবার প্রার্থী মনোনয়নে তারেক রহমান পাঁচটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেছেন। সেগুলো হলো—
ক্লিন ইমেজ: যাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখল বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নেই, তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন।
জনপ্রিয়তা: প্রতিটি আসনে জরিপের ভিত্তিতে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা বিবেচনা করা হবে, তবে সেটিই একমাত্র মানদণ্ড নয়।
ত্যাগ ও ভূমিকা: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা নির্যাতন ভোগ করেছেন, তাঁদের অবদান বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সাংগঠনিক অবদান: যারা দীর্ঘদিন সংগঠনকে টিকিয়ে রেখেছেন ও সক্রিয় থেকেছেন, তাঁদের অগ্রাধিকার থাকবে।
কোন্দলমুক্ত নেতৃত্ব: যারা এলাকায় গ্রুপিং বা অভ্যন্তরীণ বিরোধ সৃষ্টি করেননি, তাঁরা বাড়তি সুবিধা পাবেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, এই পাঁচ মানদণ্ডের ভিত্তিতেই প্রাথমিক তালিকা তৈরি হয়েছে। তবে কিছু আসনে সমযোগ্য একাধিক প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজেই।
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ