অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০৫ অক্টবার ২০২৫, সময়ঃ ০৫:০৫
টানা ভারী বৃষ্টিতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়েছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা দার্জিলিংয়ে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত ও নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার (৫ অক্টোবর) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, টানা ভারী বৃষ্টির ফলে দার্জিলিং জেলার মিরিক ও সুখিয়াপোখরি এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে, তবে প্রচণ্ড বৃষ্টি ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তা ব্যাহত হচ্ছে। ভারী বর্ষণের কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দার্জিলিং-শিলিগুড়ি প্রধান সড়ক, পাশাপাশি জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি ও কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধতায় প্লাবিত হয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার রাতে সিকিমের ছয়টি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)। পরে সকালে তা কমিয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট ঘোষণা করা হয়। আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিপাত ৭ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, ভুটানে ভারী বর্ষণের প্রভাবে উত্তরবঙ্গে হঠাৎ বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিধসের পর নিরাপত্তার স্বার্থে দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র টাইগার হিল, রক গার্ডেনসহ সব দর্শনীয় স্থান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)। বন্ধ রাখা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী টয় ট্রেন সার্ভিসও।
পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স-এ দেওয়া পোস্টে বলেন,
“দার্জিলিং, কালিম্পং ও কুরসিয়ং অঞ্চলে ভূমিধস ও বন্যায় যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। দ্রুত ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা জোরদার করে ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য, পানি, ওষুধ ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা জরুরি।”
স্থানীয় প্রশাসন ও আবহাওয়া বিভাগ বাসিন্দা ও পর্যটকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পরামর্শ দিয়েছে।
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ