অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ০২ অক্টবার ২০২৫, সময়ঃ ০৪:৪৬
মা ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ রক্ষায় আগামী ৪ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত, বেচাকেনা ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর জেলা নৌ-পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান।
জানা গেছে, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলেরা নৌকা ও জালসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম তীরে তুলতে শুরু করেছেন।
নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বুধবার দিনব্যাপী চাঁদপুর সদর উপজেলার আনন্দবাজার, লালপুর মৎস্যবাজার, আমীরাবাদ ঘাট, চর উমেদ ও রাজরাজেশ্বর এলাকায় পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন,“মা ইলিশকে নিরাপদে ডিম ছাড়তে না দিলে ভবিষ্যতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই মা ইলিশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞা শুধু শাস্তির জন্য নয়, বরং জেলেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য।”
তিনি আরও জানান, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে চাঁদপুরের ৪৫ হাজার ৬১৫ জেলে পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে, যা গতবারের তুলনায় ৫ কেজি বেশি। পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচিও চালু থাকবে।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। এ সময়ে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ টিম প্রতিদিন নদীতে টহল দেবে।
নৌ-পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান জেলেদের উদ্দেশে বলেন,“২২ দিন ধৈর্য ধরুন, মা ইলিশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখুন। সরকার প্রদত্ত সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নিন। আইন অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ