টঙ্গীবাড়ীতে পূজা মণ্ডপের সামনে কংক্রিট ফেলে প্রতিবন্ধকতা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি


 

টংগিবাড়ী প্রতিনিধিঃ-
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার জশলং ইউনিয়নের পুরা শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপের সামনে কংক্রিট ও বিটুমিন রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মন্দিরের সামনে পাথরের কংক্রিট ও ড্রামে ভর্তি বিটুমিন রাখা হয়েছে।

টংগিবাড়ী উপজেলার যশলং ইউনিয়নের পুরা ডি সি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন শ্রীশ্রী সার্বজনীন শীতলা মায়ের মন্দিরে দীর্ঘ ১১২ বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছেন। এ বছরও প্রস্তুতি চললেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেহেদী এন্টারপ্রাইজ রাস্তার কাজে ব্যবহৃত পাথর ও বিটুমিন মণ্ডপের সামনে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখায় পূজা আয়োজনে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

পূজা উদযাপন কমিটি ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় তিন মাস ধরে এসব নির্মাণসামগ্রী সরানোর জন্য বারবার অনুরোধ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে প্যান্ডেল নির্মাণ ব্যাহত হচ্ছে, এমনকি পূজা আয়োজনও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাম প্রসাদ বলেন, “আমরা বারবার মালামাল সরানোর অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এতে পূজার প্রস্তুতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।”

কোষাধ্যক্ষ রিপন অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা করতে চাই। কিন্তু মণ্ডপের সামনে মালামাল রাখায় প্যান্ডেল সাজানো সম্ভব হচ্ছে না। উল্টো আমাদের ধমক দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চাই।”

এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সচেতন মহল মনে করছেন, বিষয়টি ইচ্ছাকৃতও হতে পারে। তারা দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্নের জন্য প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ দাবি করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে মেহেদী এন্টারপ্রাইজের মালিক মেহেদী জানান, গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সাময়িকভাবে মালামাল রাখা হয়েছে। আগামী রবিবারের মধ্যে স্থান খালি করে দেওয়া হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।


সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন মানিক

নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ রহমত উল্লাহ দেওয়ান

ফোনঃ ০১৭১১৩৯১১৩০

যোগাযোগঃ ঠিকানাঃ উত্তর ইসলামপুর, হাজী বাড়ী (তিন রাস্তার মোড়) মুন্সিগঞ্জ-১৫০০।

© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ