অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ১০:৫৮
ভারতের গুজরাটে স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাকে জোর করে ফুটন্ত তেলের মধ্যে হাত ডোবাতে বাধ্য করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রায়ই তাকে নিয়ে চলত নানা অভিযোগ ও অশান্তি। বারবার নির্দোষ দাবি করলেও সন্দেহ কাটেনি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে। অভিযোগ অনুযায়ী, ওইদিন গৃহবধূর ননদ যমুনা ঠাকুর, ননদাই মনুভাই ঠাকুরসহ পরিবারের আরও দুজন সদস্য তাকে ভয়ঙ্কর কুসংস্কারপূর্ণ পরীক্ষায় বাধ্য করে। বলা হয়— যদি তিনি সত্যিই বিশ্বস্ত হন, তবে গরম তেলে হাত দিলেও কিছুই হবে না। প্রথমে তিনি অস্বীকার করলেও পরে জোর করে ধরে তার হাত ফুটন্ত তেলের মধ্যে ডোবানো হয়।
তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ননদ, ননদাইসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সমাজকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের আচরণ কেবল কুসংস্কার নয়, নারীর প্রতি ভয়াবহ নির্যাতন। তারা দাবি করেন, এমন মানসিকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নারী একইভাবে নির্যাতনের শিকার হবেন।
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ