অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৮:৪২
মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে নৃশংস হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের কর্মী মানিক মিয়া। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১১ সেপ্টেম্বর ভোর সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জেরে সালাম ও মনতাজ আলীর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তাকে পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে জখম করেছে। গুরুতর অবস্থায় মানিক মিয়াকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, তিনি বর্তমানে আইসিইউতে মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন এবং বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এটি একটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত হামলা। ঘটনাটি এলাকায় ন্যায়বিচার ও সুশাসনের প্রশ্ন তুলেছে এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা মেঘনা উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কাছে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, হামলাকারীরা দেশত্যাগের চেষ্টা করতে পারে।
ছাত্র অধিকার পরিষদ মেঘনা উপজেলা শাখার সভাপতি আমির ইসলাম রহিম জানিয়েছেন, এই ন্যাক্কারজনক হামলা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, এটি পুরো গণ অধিকার পরিষদের ওপর আঘাত। তিনি বলেন, “যারা নিরপরাধ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের অপরাধ কোনোভাবেই মওকুফ নয়। আইন অনুযায়ী তাদের বিচার করা হবে। মেঘনায় সন্ত্রাস ও গুন্ডামির কোনো স্থান নেই। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী, কিন্তু সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হলে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলব।”
তিনি প্রশাসনকে সতর্ক করে আরও বলেন, “দ্রুত তদন্ত করুন, হামলাকারীদের গ্রেফতার করুন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো। জনগণের রক্ত বৃথা যাবে না; এই ঘটনার পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়ব না।”
রহিম আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে হরিপুরে কিছু ঘটনায় আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি ষড়যন্ত্র করে নির্দোষ মানুষকে ফাঁসানো হয়, আমরা চুপ করে থাকব না। প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থান নেবো।”
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ