অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৬:০৫
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার কুখ্যাত লালু বাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে পরিচিত সৈকতকে (৩০) দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় পরিচালিত বিশেষ অভিযানে তাকে আটক করা হয়। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সৈকত গজারিয়া উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতিসহ মোট ২৩টি মামলা রয়েছে। অপরাধ জগতের দীর্ঘদিনের সক্রিয় সদস্য সৈকত লালু বাহিনীর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যমতে, গত ২৬ নভেম্বর রাতে গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে টিকটক ভিডিও বানানোর কথা বলে জহিরুল ইসলাম জয় (২৬) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার এজাহারভুক্ত আসামি সৈকত ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল। এছাড়া গুয়াগাছিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা এবং মান্নান নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যাসহ একাধিক গুরুতর অপরাধে তার সম্পৃক্ততার তথ্য রয়েছে। দুর্ধর্ষ এই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তারে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে। সিপিএসসি (নারায়ণগঞ্জ) ইউনিটের একটি দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় অভিযান চালিয়ে সৈকতকে আটক করে। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হোগলাকান্দিস্থ তার বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশীয় ওয়ান শুটার গান এবং দুই রাউন্ড শর্টগানের গুলি উদ্ধার করা হয়। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত সৈকতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে গজারিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরাধ দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় বাহিনী।
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ