অফিস ডেস্ক
প্রতিবেদন প্রকাশ: ২৪ নভেম্বার ২০২৫, সময়ঃ ০৫:১২
বগুড়া শহরের কইপাড়ায় নববধূ আফিয়া আকতার শম্পা (১৯) গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। স্বজনদের অভিযোগ—যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় স্বামী রিয়াজুল জান্নাতই তাকে হত্যা করেছে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বগুড়া শহরের কইপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নববধূ আফিয়া আকতার শম্পার (১৯) মরদেহ। নিহত শম্পা কাহালু উপজেলার মুরইল পোড়ামারা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে।
স্বজনদের অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মাসখানেক আগে শম্পা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন রিয়াজুল জান্নাতকে। বিয়ের পর তারা কইপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া করে বসবাস শুরু করেন। কিছু দিনের মধ্যেই রিয়াজুলের যৌতুকের দাবি বাড়তে থাকে—৬ লাখ টাকা এবং একটি আর ওয়ান ফাইভ মোটরসাইকেল চান তিনি। যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে শম্পার ওপর নির্যাতন নেমে আসে বলে দাবি পরিবারের।
স্বজনদের অভিযোগ অনুযায়ী, এ নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় রোববার সন্ধ্যায় রিয়াজুল শম্পাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। শম্পার এক চাচা জানান, মৃত্যুর মাত্র ২০ মিনিট আগে শম্পা তার বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন, “বাবা, স্বামী আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে, তুমি আমাকে বাঁচাও।” পরে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে শম্পার লাশ দেখতে পান।
স্থানীয়রা জানান, পরিবারের চিৎকার শুনে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা দিয়ে শম্পার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। তারা রিয়াজুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং রিয়াজুলকে থানায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির বলেন, “এটি রহস্যজনক মৃত্যু। তিনি আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে—তা এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।” মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানান তিনি।
© sangbad52 ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
সতর্কতাঃ এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ