অফিস ডেস্ক
নারীকে সম্মান করার মানসিকতা প্রতিটি মানুষের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। একইসাথে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নারীকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, যা নির্যাতন প্রতিরোধে বড় হাতিয়ার- এমন মন্তব্য করেছেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা নুরমহল আশরাফী। মঙ্গলবার (৯ ই ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসন এবং জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর মুন্সীগঞ্জ এর আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে অদম্য নারী পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী; শিক্ষা ও চাকুরির ক্ষেত্রে সাফল্য আর্জনকারী নারী; সফল জননী নারী; নির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে ফেলে জীবন সংগ্রামে জয়ী নারী; সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী - মোট ০৫ (পাঁচ) টি ক্যাটাগরিতে জেলা পর্যায়ে অদম্য নারী পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে পরিবার ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগ এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি। নারীর প্রতি সহিংসতা কেবল আইনের মাধ্যমেই বন্ধ করা সম্ভব নয়, এর জন্য প্রয়োজন পরিবার, সমাজ এবং প্রশাসনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ঘরে-বাইরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, " বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে। আপনার কন্যাশিশুকে অবশ্যই স্কুলে পাঠাতে হবে। বর্তমান সরকার কন্যাশিশুকে সফল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অসংখ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নারীকে সম্মান করার মানসিকতা প্রতিটি মানুষের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। একইসাথে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা নারীকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, যা নির্যাতন প্রতিরোধে বড় হাতিয়ার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) জনাব মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশীদ, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উপপরিচালক জনাব আলেয়া ফেরদৌসী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় এর উপপরিচালক জনাব মো: আলাল উদ্দিন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীবৃন্দ।