বিপ্লব শেখ :
আশুলিয়ায় একটি খামারে ২৬ কেজি ওজনের ২০ইঞ্চি গরুর নাম করণ হয়েছে রানী। সেই রানী নামক গরু টাকে নিয়ে ব্যপক তোলপার শুরু হয়েছে সারা আশুলিয়ায়। রানীকে কিনতে চান অনেক শৌখিন ক্রেতা ও খামার মালিকরা। প্রতিদিনই ফোনে ক্রেতারা সর্বোচ্চ ১০ লাখ পর্যন্ত দাম হাঁকছেন গরুটির। কিন্তু, খামার কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই রানিকে হাতছাড়া করতে নারাজ। এর জন্য অপেক্ষা ৯০ দিনের পাথালিয়া গ্রামে শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি খামারে রানী বেড়ে উঠেছে। খামারটির স্বত্বাধিকারী কাজী মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান প্রায় এক বছর আগে তার এক কর্মচারীর মাধ্যমে নওগাঁ থেকে গরুটি সংগ্রহ করেন। এরপর থেকেই রানিকে লালন-পালন করা হয়েছে তার খামারে। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট গরু হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রানির খবর ছরিয়ে পরেছে বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে আজ দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে প্রচারের পর রানির চাহিদা বেড়েছে। শৌখিন ক্রেতা কিংবা বড় বড় খামারমালিক পালনের জন্যই রানিকে কিনতে চাইছেন চড়া দামে ।শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক তানভির হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেকেই ফোন দিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন এবংএই রানীকে কিনতে চওড়া দাম শুনাচ্ছে। কিন্তু আমরা তো গিনেসে নাম ওঠা না পর্যন্ত বিক্রি করার চিন্তা করছি না । যদি নাম না ওঠে, তারপরও আমাদের পালার ইচ্ছা আছে। আর যদি স্যার মনে করেন, সেল করবেন, তখন প্রাইজটা অফার করা হবে। তবে বর্তমানে রানীর দাম ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। রানীকে সংগ্রহ এর বিষয়ে বলেন, ‘নওগাঁর খামারি পরিচিত এক ব্যক্তি, যার নাম বাবু ভাই। ওনার যে সোর্স ছিল তার মাধ্যমে বাবু ভাই গরুটিকে সংগ্রহ করছিল। বাবু ভাইয়ের সংগ্রহে যখন ছিল তখন মানুষজন ওখানে দেখতে যেত। ওনার বেশ কয়েকটি খামার রয়েছে। মূলত উনি সব সময় আনকমন ও নোভাল গরু সোর্সিং করেন। বাবু ভাইয়ের নিকট থেকেই রানীকে ক্রয় করা হয়েছে।এক ঈদ শেষ হতেই আর এক ঈদ আসার আগেই আমরা গরু কিনে ছয় মাস কিংবা এক বছর ধরে লালন-পালন করে থাকি। আমরা চেষ্টা করছিলাম এটার প্রকৃত মালিক’কে খুঁজে বের করতে? কিন্তু আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারি নাই। আমরা এতটুকু শুনেছি এটা পঞ্চগড়ে এক কৃষকের কাছে ছিল । কিন্তু যাদের মাধ্যমে আমরা নিয়েছি, তারা মেইন মালিককে সামনে আনতে পারে নাই । বাবু ভাই যার কাছ থেকে নিয়েছিল, তার নামটাও মনে নাই। বর্তমানে সৌখিন ব্যক্তিগণ ও সৌখিন খামারি মালিকরা এই রানীকে কিনতেই ঝড় তোলে এবং তোলাপর জনক আলোরন সৃষ্টি করেছে ।